বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্কুল প্রধানদের কাছে প্রতারকদের চিঠি, ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৪৫

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় মেয়েদের কমন রুম নির্মাণের প্রলোভন দিয়ে রাজশাহীর স্কুল প্রধানদের নামে চিঠি পাঠিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রতারকচক্র এ কাজ করছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন অনেকেই।
  
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘উপ-সচিব’ পরিচয়ে জনৈক এম আশরাফুল আলম চৌধুরীর এক চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউরোপিয়ান কমিশনের যৌথ উদ্যোগে প্রমোট বিদ্যালয় উন্নয়ন-দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় এককালীন অনুদান দেওয়া হবে।’ চিঠি পাওয়া মাত্র মোবাইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়। চিঠির বিষয়ে ফোন করলে ওই ব্যক্তি তা স্বীকার করেন। চিঠিতে মেয়েদের কমন রুম নির্মাণে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া কথা জানিয়ে ওই টাকা বরাদ্দ পেতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওই ব্যক্তি। 

এ ব্যাপারে পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আখতার ফারুক বলেন, ওই চিঠি পাওয়ার পর তারা কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারাও ওই চিঠি পেয়েছেন বলে জানান। চিঠির কথা মত কেউ কেউ ফোনে উপ-সচিব পরিচয়ধারী আশরাফুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ‘মিষ্টি খাওয়ার’ নামে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলেন।

পবা উপজেলার কাটাখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহররম আলী খান বলেন, চিঠিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগোসহ প্রমোট প্রকল্প ও ইউরোপীয়  ইউনিয়নের লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু চিঠির ফরম্যাট দেখেই তার সন্দেহ হয়। 

আরও পড়ুন: ‘ভোলার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে রঙ ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা’

সূত্র জানায়, শুধু প্রমোট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন নয়, বিভিন্ন সময়ে নানা লোভনীয় অনুদানের কথা বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। 

রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে প্রমোট নামের এক প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ওই প্রকল্প শেষ হয়েছে অনেক আগেই। তবু একটি চক্র ওই প্রকল্পের নামে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা অফিস থেকে সতর্ক করে স্কুলগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ও জানে। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ইত্তেফাক/এসি