শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নোয়াখালী-৩ : আওয়ামী লীগ সরব, কৌশলী বিএনপি

আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:০২

নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ আসনে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে উভয় দল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মাঠে নেমে পড়েছে। আওয়ামী লীগ প্রচারণায় সরব হলেও, বিএনপি কৌশল অবলম্বন করে নীরবে প্রচারণা চালাচ্ছে।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগমগঞ্জ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কৃষি মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ এমপি, বিএনপির প্রার্থী দলীয় কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি বরকত উল্লাহ বুলু, জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ বাহার উদ্দিন, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ, বাংলাদেশের কম্যুনিস্ট পার্টির মজিবুল হক মজিব, গণতন্ত্রী পার্টির মানিক লাল দাস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মো. ওমর ফারুক মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

বেগমগঞ্জে মোট ভোটার তিন লাখ ৯২ হাজার তিনশত। পুরুষ দুই লাখ দুই হাজার ৬৮৬, মহিলা এক লাখ  ৮৯ হাজার ৬১৪ জন। মোট কেন্দ্র ১৪৬টি ও বুথ ৬৪৮টি।

১৯৭৩ সালের পর আওয়ামী লীগ এ আসনে দলীয় কোন্দলের কারণে জয়ী হতে পারেনি। ২০১৪ সনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মামুনুর রশীদ কিরণ নির্বাচিত হন। 

আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা জানান, দলের অভ্যন্তরে কোন্দল প্রকট থাকায় এবং এক গ্রুপ থেকে মনোনয়ন পেলে অপর গ্রুপ তাকে হারানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা করে আসছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপি জয়ী হতো। এবারও প্রকট দলীয় কোন্দল থাকলেও হাই কমান্ডের কঠোর সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে সমঝোতায় পৌঁছে। ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠে এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। 

আরো পড়ুন: তাপস ও সানি লিওনের মিউজিক ভিডিও

অপরদিকে বিএনপির মধ্যে কিছু কোন্দল থাকলেও দলীয় প্রার্থীর মার্কায় ভোট দিয়ে থাকে। তার ওপর রয়েছে জামায়াতের ভোট ব্যাঙ্ক। আগে থেকে বিএনপি ও জামায়াত প্রকাশ্যে না থাকলেও নীরবে সব গুছিয়ে রেখেছে। গ্রামে গ্রামে, বাড়ি বাড়ি বৈঠক করে নেতাকর্মীদেরকে ভোটমুখী করে রেখেছে। 

নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজীম সুমন জানান, যদিও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, তারপরেও নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। মূলত এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

চৌমুহনী শহরসহ উপজেলার কুতুরপুর, রছুলপুর, লতিফপুর, রফিকপুর, লাউতলী, মাধবসিং, আলাদী নগর, টঙ্গীর পাড়, মনপুরা, ছয়ানি  চানকাশিমপুর ঘাটলা, দুর্গাপুর এলাকায় অনেক সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এক প্রকার আতঙ্ক রয়েছে বলে সংখ্যালঘুদের নিকট থেকে জানা যায়।

এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুর আমীন জানান, সংখ্যালঘুর ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ