শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাগার তীরে ‘ন ডরাই’

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৪

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ন ডড়াই’ সিনেমাটি নিয়ে মুক্তির আগে থেকে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে। সিনেমার গান ও ট্রেলর দিয়ে আগে থেকেই একটি ইতিবাচক আভাস নিয়ে শুরু হয় ‘ন ডড়াই’ যাত্রা। গল্পের দিক থেকেও সবার দৃষ্টি কেড়েছে সিনেমাটি। মুক্তির পরেও সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু বিষয়ে চমক রেখেছে। অনেক নতুনত্ব উপহার দিয়েছে।

এবার আরেকটি নতুন পালক যুক্ত হলো ছবিটির ইতিহাসের সঙ্গে। গত ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছবিটির এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো কোনো ছবির ‘বিচ প্রিমিয়ার’ এটি। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সায়মান বিচ রিসোর্টের সামনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য প্রদর্শিত হয় ‘ন ডরাই’।

এতে উপস্থিত ছিলেন ছবির প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্টসহ অনেকে। স্থানীয় সার্ফারদেরও এ প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদেরকে টি শার্টসহ বিশেষ উপহারও দেওয়া হয়। প্রদর্শনী শেষে অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয় বারবিকিউ পার্টি।

ছবির প্রযোজক মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেয়ার। ছবির গল্প, নির্মাণশৈলী, চিত্রায়নসহ সবকিছুতে অভিনবত্বের ছাপ রাখার প্রয়াস ছিলো আমাদের। সাহসী নারীর গল্পের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আকর্ষণীয়রূপে পর্দায় উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিচ প্রিমিয়ারও এই নতুনত্বের প্রয়াসের একটি অংশ। ছবি মুক্তির পর থেকে এ যাবত্ দর্শকদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমার চেষ্টা অনেকখানি সার্থক বলে মনে করি।’

উলেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে সার্ফিং নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘ন ডরাই’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান অংশু। প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও সুনেরা বিনতে কামাল।

সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে ‘ন ডরাই’। ছবিতে সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করে সার্ফার হিসেবে এক নারীর প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা নারীদের উত্সাহিত করবে।

ইত্তেফাক/বিএএফ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন