বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘পরিণত বয়সের বঙ্গবন্ধু’র চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আমার’

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৩৮

চিত্রনায়ক ফারুক। বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পের অভিভাবক হিসেবে অনেকেই তাকে ‘মিয়াভাই’ বলে সম্বোধন করেন। এদিকে সংসদ সদস্য হিসেবে নতুন দায়িত্বও বেড়েছে তার। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার এক জীবনের গর্ব এ দেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। কথা বলেছেন সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রসঙ্গে।

সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তানভীর তারেক

কেমন আছেন?

ভালো আছি। তবে ব্যস্ততা বেড়েছে। আমি সবসময়ই গণমানুষের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। সেই সুযোগটাও পেয়েছি। এ কারণে আমি আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজীবনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সবসময়ই আপনি খুব স্পষ্টবাদী। কখনো কি কোনো প্রসঙ্গে কথা বলে আপনার মনে হয় ‘ভুল বলে ফেলেছি’?

নাহ। কখনোই মনে হয় না। কারণ আমি কখনোই, কোনোদিন বানিয়ে কথা বলি না। মনের ভেতরের কথাগুলোই বলি।

মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্রের সুপারস্টার, সংসদ সদস্য—এতগুলো পরিচয় থেকে কোন পরিচয়টি আপনার সবচেয়ে প্রিয়?

অবশ্যই ‘মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয়টি আমার কাছে সবথেকে প্রিয়। কারণ সেই কৈশোরে দেখা বঙ্গবন্ধুর প্রতি মোহ থেকেই রাজনীতির মাঠে ছিলাম। যুদ্ধে লড়েছি। এই মাটির সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে লড়তে পেরেছি। এটাই জীবনের সেরা অর্জন।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতের একটি স্মৃতির কথা শুনতে চাই—

কৈশোরে প্রথম দেখার স্মৃতির কথাটা বলি আমি। গুলিস্তানে তিনি এক জনসভায় বক্তৃতা শেষে পার্টির অন্য মেম্বারদের হাতখরচ দিচ্ছিলেন। তখনো বঙ্গবন্ধুকে চিনি না। আমি সেই কৈশোরে কিছু টাকা পাবার আশায় তার কাছে গেলাম। মিথ্যে বললাম, ‘আমি আপনার কর্মী।’ আমার বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। আমাকে দেখে বঙ্গবন্ধু বললেন ‘তোর কী’। অর্থাত্ কী চাস? আমি বললাম হাতখরচ দিতে হবে। আমার ছেলেপেলেরা কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত থেকে প্রথম দেখায় টাকা পেলাম। অবাক করার মতো ব্যাপার হলো আমি আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছেও সাক্ষাতে তার মুখ থেকে শুনলাম ‘তোর কী’। আমি তার ভেতরে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পাই।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বায়োপিক হচ্ছে। এরই ভেতরে অনেক কিছুই চূড়ান্ত হয়েছে। আপনাকে সুযোগ দিলে বঙ্গবন্ধুর কোন বয়সটা নিতে চাইতেন—

আমি এই কাজটির উপকমিটিতে আছি। পরামর্শও দিয়েছি বেশ কিছু বিষয়ে। তবে প্রশ্নটা যেহেতু কোন বয়সকে বেছে নিতাম—তার জবাবে বলব, পরিণত বয়সের বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আমার।

চলচ্চিত্রে এখন সম্পর্কের অবনতি দেখা যায়। আপনি চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের মুরুব্বি। অনেকেই বলেন, আপনার প্রশ্রয়েই বর্তমান শিল্পী-সমিতির নেতারা সাহস পায়। আপনি তাদের একটু বেশিই ভালোবাসেন...।

না, আমি সবাইকেই সমানভাবেই দেখি। আমার ভেতরে ঐ স্বভাব নেই। সামনে এক, পেছনে আরেক। কারণ আমি কোনোকিছু পরোয়া করিনি এক জীবনে। তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক জায়েদ-মিশারা যেভাবে আমাকে সাপের মতো জড়িয়ে রাখে সেই সম্পর্কটা তো আমি অস্বীকার করতে পারি না।

চলতি সময়ে সালমান শাহ-শাকিব খানকে তুলনা করে কথা বলেছেন। তা নিয়ে নতুন তর্কের জন্ম হয়েছে...।

দেখুন, আজকের ইউটিউবের যুগে আংশিক বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। আমি কোন প্রেক্ষিতে সালমান প্রসঙ্গে ঐ কথা বলেছি সেটা দেখতে হবে। আর শাকিব এর আগে বেয়াদবি করেছিল, তাই চটেছিলাম। বড়ভাই হিসেবে শাকিবকে চড়ও মারতে পারি। তাই বলে সম্পর্ক নষ্ট করব আজীবনের জন্য এটা তো হতে পারে না। ও আমার বাসায় এসে ক্ষমা চেয়েছে। আমি ছোট ভাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

ইত্তেফাক/বিএএফ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন