শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘কাছের মানুষদের খোঁজখবর আমাদের আগে নেওয়া উচিত’

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২০, ০২:১৫

চিত্রনায়ক ফারুক। বাংলাদশের চলচ্চিত্রে চিরসবুজ এই মানুষটি। করেছেন মুক্তিযুদ্ধ। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছেন পুরো দেশে। সম্প্রতি তার নতুন পরিচয় হচ্ছে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য তিনি। করোনা ভাইরাসের এই সঙ্কটে অনেকের মতো অসহায় মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছেন তিনি। সেই বিষয় ও শিল্পীদের সহযোগিতা নিয়ে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু

করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগের সময় অনেকেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। আপনিও সম্প্রতি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে শুরুতে জানতে চাই—

শুরুতে ব্যক্তিগতভাবে মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও হ্যান্ড গ্লাভস দিয়েছিলাম। যেহেতু আমি একজন সংসদ সদস্যও তাই সেই জায়গা থেকেও আমার দায়িত্ব থাকে। মানুষের মূল সঙ্কট এখন খাবার। আমি খাবারের সাপোর্টের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলাম এবং তা আমি ঠিক সময়ে পেয়েছি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পুরো দেশের জন্য তিনি পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এই শুক্রবারও আমরা কড়াইল বস্তিতে ত্রাণ দিয়েছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিল্পীদের ত্রাণ বিতরণের ছবি নিয়ে বেশ সামলোচনা তৈরি হয়েছে। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

এটি খারাপ কিছু কিন্তু মনে করি না। কারণ শিল্পীদের প্রতি সাধারণ মানুষের একটা আলাদা ভালোলাগা থাকে। এখন তারকাদের একটি কাজ যদি অন্য দশজনকে অনুপ্রেরণা জোগায় সেখানে খারাপ কিছু থাকতে পারে না। তবে একটি বিষয় বিশ্বাস করার জরুরি যে ভাইলাল হওয়ার জন্য নয়, মানুষকে মন থেকে সাহায্য করা যেন আসল উদ্দেশ্য থাকে। আর আমি বিশ্বাস করি আমাদের শিল্পীদের সেই মানসিকতা রয়েছে। আর তারা কিন্তু সাহায্য করছে। আমি অনেককেই দেখলাম। তাদের নিজেদের যতুটুক সামর্থ্য রয়েছে তা নিয়ে এগিয়ে আসছে।

আরও পড়ুনঃ সামনে ভয়ংকর দিন! 

চলচ্চিত্রের অস্বচ্ছল শিল্পী ও কলাকুশলীদের জন্য শিল্পী সমিতি ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠনের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এই বিষয়ে কী বলবেন?

কাছের মানুষদের খোঁজখবর আমাদের আগে নেওয়া উচিত। তিনি হয়তো আপনার কাছে চক্ষু লজ্জায় চাইবেন না। তাই তাকে নিয়েও ভাবতে হবে। শিল্পী সমিতি সেই উদ্যোগ দেখা গেছে। অন্য সংগঠনগুলোরও এগিয়ে আসা উচিত। আশা করি তারাও আসবে। কারণ আমাদের সিনেমার অবস্থা এখন এমনিতেই ভালো না। আগের মতো ব্যবসাও নেই। সবার ভালো অবস্থাও নেই। এই মানুষগুলোকে নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

অনন্ত জলিলের ত্রাণকে সামনে রেখে শিল্পী সমিতি প্রচারণায় এলো। সংগঠন থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতার খবর পাওয়া যায়নি। একজন শিল্পী হিসেবে সংগঠনের এমন অবস্থানকে কীভাবে দেখেন?

অনন্ত জলিল যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি দারুণ। তার কথা আমি বেশ কয়েকবার আলোচনায় এনেছি। আর শিল্পী সমিতির সদস্যরাও কিন্তু সহযোগিতা করছেন যে যার অবস্থা থেকে। হয়তো সব খবর গণমাধ্যমে আসে না। তবে এমন কিছু খবর আমি পেয়েছি। আর আগের কথাটাই বলতে হয়। এখন সিনেমার বাণিজ্যিক যে অবস্থা সেখানে হয়তো কয়েকজন মানুষ ভালো আছেন। সবার অবস্থা কিন্তু অনেক ভালো না। এমন অবস্থাতেও অনেকে নিজের জায়গা থেকে এগিয়ে এসেছেন। সামনে হয়তো আরও অনেকে আসবেন।

ইত্তেফাক/ এমএএম 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন