বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও গল্পকার এটিএম শামসুজ্জামান। ৮০ বছরে পা রেখেছেন গুণী এই অভিনেতা। এক কথায় বলতে গেলে তার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি কৃতিত্বেরও শেষ নেই। ইত্তেফাক অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনয়, চলচ্চিত্র, শিল্পী ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন এটিএম শামসুজ্জামান।
তিনি তার এই বিশাল ক্যারিয়ারে ভেবেছেন সমাজের জন্য কোন গল্পটি উপকারে আসবে, কোন আদর্শটি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে তা নিয়ে। তিনি কাজও করেছেন এসব নিয়ে।
বর্তমানের অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে জানান, আমাদের সময় অভিনয়ের মতো অভিনয় হতো। আমাদের সময় গল্পের কাহিনী ছিল প্রধান। এখন সবাই টাকাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।
তিনি জানান, গল্প ভালো লাগলে তবেই তাতে অভিনয় করতাম। সবসময়ই স্ক্রিপ্ট আগে পড়তাম। আমি সবসময় ভাল স্ক্রিপ্ট দেখে কাজ করার চেষ্টা করেছি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে কোন পারিশ্রমিক ছাড়াও অভিনয় করেছি। কারণ আমার মূল লক্ষ্যই ছিল অভিনয়, সিনেমার বিষয়বস্তুর মাধ্যমে সমাজের মাঝে পরিবর্তন আনা।
কার অভিনয় পছন্দ করেন জানতে চাইলে প্রবীণ এই অভিনেতা বলেন, ‘হাতে গোনা দুই/চারজনের অভিনয় ভালো লাগে। কিন্তু বেশিরভাগই অভিনয় না জেনে নাটক করে, না বুঝে অভিনয় করে। এমনকি বিষয়বস্তু সম্পর্কেও কোন ধারণাই নেই তাদের। মূল উদ্দেশ্যই তাদের হল টাকা।’
তার অভিনীত, ‘মন বসেনা পড়ার টেবিলে’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘ম্যাডাম ফুলী’, ‘দায়ী কে?’ এবং ‘চোরাবালি’ অন্যতম। মহামারীর এই সময় তিনি যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করছেন এবং বাড়িতেই তার পছন্দের লেখকের নানা বই পড়ে, নাটক, সিনেমা দেখে সময় পার করছেন।
ইত্তেফাক/বিএএফ