‘এটিএম শামসুজ্জামান আঙ্কেলের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা আসলেই অসাধারণ। আমি যখন অভিনয় শুরু করেছি তখন ‘দেহরক্ষী’ নামের একটি নাটক করি। সেই নাটকে আমি স্কুলছাত্রী। এটিএম আঙ্কেল ছিলেন আমার দেহরক্ষী। কিন্তু এতো বড়মাপের একজন অভিনেতা আর আমি নতুন এটা কখনো মনে হয়নি। তিনি এতো ভালো মানুষ; সব সময় হাসাতেন। অনেক মজা করতেন। শুটিংয়ের ফাঁকে তার সঙ্গে আমার কবিতা নিয়ে অনেক কথা হতো। তিনি অসাধারণ কবিতা লিখতেন।’
সোমবার রাতে দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ইনচার্জ জনি হকের সঞ্চালনায় ‘টুনাইট শো লাইভ’-এর অতিথি ছিলেন ভাবনা। এ সময় কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
ভাবনার কথায়, ‘একবার আমরা ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে গিয়েছিলাম। সেই বাড়িটা অনেক সুন্দর ছিলো। উনি সেই সময় আমাকে একটার পর এক কবিতা শোনাতেন আর আমি ওনার পাশে বসে থাকতাম। উনি মাঝে মধ্যে বলতেন, ‘ভাবনা, বৃদ্ধ মানুষের সাথে কেউ আড্ডা দেয় না। আমার ভালোলাগে যখন তুমি আমার সাথে আড্ডা দাও।”
ভাবনা বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগতে তার সাথে আড্ডা দিতে। ওইটাই ছিলো তার সাথে আমার শেষ কাজ। আমরা একসাথে ওই সিরিয়ালটা করতাম।’
এই অভিনেত্রী জানান, ‘আগেরবার এটিএম শামসুজ্জামান আঙ্কেল যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন সেই সময় তাকে দেখতে দিয়েছিলাম। রুমটা বেশ বড় ছিলো। গিয়ে দেখি আঙ্কেল ঘুমাচ্ছেন। ওনাকে আর ডাকিনি। তখন আন্টির সঙ্গে আমার ঘণ্টাখানেক কথা হয়েছে আমার। আমি চলে আসার পর শুনি উনাকে ডাক দেইনি বলে মন খারাপ করেছেন। এরপর ওনার সঙ্গে দেখা করবো করবো করে আর দেখাই হলো না। তিনি এভাবে চলে যাবেন সেটা ভাবতেই পারছি না।’
<iframe width="560" height="315" src="https://www.youtube.com/embed/xYH5XX8W4nY" frameborder="0" allow="accelerometer; autoplay; clipboard-write; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen></iframe>
ইত্তেফাক/বিএএফ/টিআর