সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন রাজধানীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ চক্রবর্তী।
ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘ফরিদা পারভীন এখন অনেকটাই সুস্থ। করোনার কোনো উপসর্গ এখন আর তার মধ্যে নেই। তার অক্সিজেন মাত্রা স্বাভাবিক আছে। এই অবস্থায় বাসায় থেকে আইসোলেশনে থাকবেন তিনি। সর্বোপরি সুস্থ আছেন ফরিদা পারভীন। আশা করি, শিগগিরই তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।’
গত ৮ এপ্রিল ফরিদা পারভীনের করোনা শনাক্ত হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কয়েক দিন বাসায় চিকিৎসা নিলেও গত সপ্তাহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অনেকদিন ধরেই তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। সাথে ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরোটিসের সমস্যা আছে।
ফরিদা পারভীন লালনের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতের তালিম নেন।
১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
ইত্তেফাক/বিএএফ