মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্ত্রীর পরকীয়া, একা ঘরে হাউমাউ করে কাঁদছি: কাঞ্চন মল্লিক

আপডেট : ২১ জুন ২০২১, ১৮:৪৮

নুসরাত-নিখিল, শ্রাবন্তী-রোশন পর এবার কাঞ্চন মল্লিকের সংসার ফাটলের খবরে গত তিনদিন ধরে তোলপাড় টলিগঞ্জ। বেশ কয়েক মাস ধরেই টলিপাড়ায় গুঞ্জন, কাঞ্চন মল্লিক নাকি প্রেম করছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে। এমন অভিযোগ তুলে গত শনিবার কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন স্ত্রী পিঙ্কি ব্যানার্জি। এবার দাম্পত্য কলহ নিয়ে মুখ খুললেন কাঞ্চন। সেই সঙ্গে কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন এই অভিনেতা।

রবিবার ভারতীয় গণমাধ্যমকে কাঞ্চন বলেন, নিজের পরকীয়ার থেকে ছাড় পেতে আমাকে শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে জড়িয়ে দিলেন। যার সঙ্গে আমার পরকীয়ার কোনো সম্পর্কই নেই! এই প্রশ্ন কেউ করেছেন ওকে? জানতে চেয়েছেন, পিঙ্কির প্রশাসনিক মহলে কতজন বন্ধু রয়েছে? কেউ জিজ্ঞেস করবেন না। কারণ, কোনো নারী এই ধরনের অভিযোগ তুললে সমাজ তার পক্ষে। পুরুষদেরও কান্না পায়, কে বুঝবে? তার উপর সে যদি হয় ‘লোক হাসানো’ কাঞ্চন মল্লিক! লোক হাসাতে হাসাতে আজ একা ঘরে হাউহাউ করে কাঁদছি। কেউ দেখার নেই!

কাঞ্চনের কথায়, রাতারাতি কলঙ্কিত নায়ক আমি। রাস্তায় বেরোতে পারছি না। লোকের সঙ্গে মাথা তুলে কথা বলতে পারছি না। সবার বিস্মিত দৃষ্টি যেনো তীরের মতো বিঁধছে। মাথা নিচুঁ হয়ে গেছে নিজের দলের কাছে। কী উত্তর দেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে? তারা আমায় ভরসা করে একটি কেন্দ্রের বিধায়ক পদে প্রার্থী করেছেন। দলের কাছে, নেত্রীর কাছে এভাবে ছোট করার মানে কী?

এই অভিনেতা বলেন, বিধায়ক পদে জেতার পর একাধিক দাবি-দাওয়ার ঝুলি খুলে বসে আমার স্ত্রী। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাকে। চাকরিও করে দিতে হবে ছেলের ভাইরা ভাইকে! এতো দাবি মেটানো আমার পক্ষে সম্ভব? বিধায়ক হলেও আদতে আমি তো ছা-পোষা অভিনেতা। আমার সঙ্গে যখন জি বাংলায় শো করতে গেলো তখনও ক্যামেরার সামনে কি নিখুঁত সুখী দম্পতির অভিনয় করলো!

প্রতি সপ্তাহে আমি ছেলের পছন্দমত রান্না নিজে রেঁধে নিয়ে গিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে। সবার জন্মদিন পালন করেছি। উল্টে শনিবার মিথ্যে বদনাম দিয়ে আমায় মদ্যপ বলেছে পিঙ্কি। কেউ জানেন না, ওর পরিবারের সবাই প্রতিটি উদযাপনে মদ ছাড়া চলতে পারেন না। তারও জোগান দিয়েছি আমি। গত লকডাউনে ২ লক্ষ টাকা আর রেশন পাঠিয়েছি শ্বশুরবাড়িতে। ব্যাংকের তথ্য তার প্রমাণ। কখনো পিঙ্কি ভুলেও বলেনি, আমি আসছি তোমার কাছে। ক’দিন থাকবো এক সঙ্গে।

আমি প্রচণ্ড ক্লান্ত। আমার কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব। প্রচুর কাজ করতে হবে। এই মিথ্যে অপবাদ থেকে রক্তমাংসের কাঞ্চন মল্লিক মুক্তি চাইছে। পিঙ্কি তুমি নিশ্চিন্তে থাক, ছেলের সব দায়িত্ব আমার। এবার আমায় মুক্তি দাও।

ইত্তেফাক/বিএএফ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন