চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৪ মে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখন পর্যন্ত বর্তমান কমিটি কোনো ধরনের তফসিল ঘোষণা করেনি। শুধু তাই নয় নির্বাচনের আগের মুহূর্তে এফডিসি প্রাঙ্গণে যেই নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখতে পাওয়ার কথা তার কোনোটিই নেই এফডিসিতে। এমনকি সাধারণ সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি এখনো। কমিটি থেকে এজন্য অবশ্য দুটি কারণ দেখানো হচ্ছে। প্রথমটি সভাপতি মিশা সওদাগরের না থাকা। অন্যটি শোকের মাস। কিন্তু নির্বাচনের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সভাপতির অনুপুস্থিতি থাকার কোনো কারণ জানাননি সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া শোকের মাসের নির্বাচন না হলেও নির্বাচনের কোনো প্রস্তুতি ও সাধারণ সভার আয়োজন কেনো হচ্ছে না এমন প্রশ্ন অনেকেরই।
সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি তাকে।
এবার নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন ওমর সানী। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো বিষয় নিয়ে কোনো কথা শুনিনি। যারা এখন কমিটিতে আছেন তারা বলছেন শোকের মাসের জন্য নির্বাচন আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আগামী মাসে নির্বাচন হলেও সাধারণ সভা এখনো কেনো অনুষ্ঠিত হচ্ছে না? এই প্রশ্নগুলো করার মতো কোনো জায়গা নেই। যেখনে সাধারণ সভার আয়োজনই করা হচ্ছে না। সেখানে কথা বলার জায়গা কোথায় থাকবে। আগেরবার আমাদের ২১ দিন দেরি হওয়াতে সমালোচনার কোনো কমিত ছিল না। যদি ধরে নেই সেটি আমাদের ব্যর্থতা ছিল তাহলে সেই ব্যর্থতার পথেই হাঁটছেন তারা। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সেটির আয়োজন দ্রুত করা হলেও ভালো। আর আমরা শিল্পীরা শান্তিতে ভোট দিতে চাই। কোনো ক্ষমতার প্রয়োগ এখনো চাই না।’
আরো পড়ুন: সচিব হতে চান ২৫০ জন, এ বছর শূন্য হবে ১৬ পদ
এদিকে মিশা সওদাগর বর্তমানে পারিবারিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও দেশ ছাড়ার আগে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে জোর গলায় বলেন, আমরা মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবো। এছাড়াও শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমরা যে ফান্ড তৈরির কথা বলেছিলাম। সেটি আমাদের প্যানেলের সদস্যদের কারণেই সম্ভব হয়নি। তবে আমরা অন্য অনেক কাজেই সফলতা অর্জন করেছি। অনৈতিকভাবে বিদেশী ও যৌথ প্রযোজনার ছবি বন্ধ করতে পেরেছি।’
এছাড়া একাধিক ইন্টারভিউতে শাকিব খান শিল্পী সমিতির বর্তমান প্যানেল তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এমন মত প্রকাশ করেন।
এত বিভাজন বা তর্কের পর তাই সকলে চাইছেন সঠিক সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব।
ইত্তেফাক/বিএএফ