দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজের সংখ্যা কমলেও টিভি নাটকের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরো উল্টো। প্রতিবছরই পাল্লা দিয়ে যেন বাড়ছে টিভি নাটকের সংখ্যা। টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি এখন ইউটিউব ও স্ট্রিমিং সাইট যোগ হওয়া নাটকের সংখ্যাটা এখন অনেকটা হিসেবের বাইরে। আগে অন্তত চ্যানেলে নাটক প্রচারের আগে মান বিচারের হিসেব থাকলেও অনলাইনে সেই হিসেবটিও নেই।
ব্যক্তিগত বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেলে এখন নাটক প্রচারের বিষয়টি শুধু বেচাকেনার মতো হয়ে গেছে। তাই নাটকটি প্রচার হবে কি-না, সেই দায় কেউ নিচ্ছে না। তাই নাটকের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তার সঙ্গে মানহীন নাটকের কবলে এখন নাটক পাড়া। কিন্তু এর সমাধান কোথায়?
বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারকারা এ নিয়ে বিভিন্ন সমাধানের কথা বললে এর প্রয়োগটা এখনো স্বচ্ছ জায়গায় এসে পৌঁছায়নি। সিনিয়র শিল্পীরাও বলে যাচ্ছেন নাটকের মানের প্রসঙ্গে। একই ছকে বাঁধা যেন সব নাটকের গল্প। পারিবারিক গল্প এখন নেই বললেই চলে। এত সমালোচনার মধ্যেও গ্রাম কেন্দ্রিক নাটকগুলোর জনপ্রিয়তা দর্শকদের মাঝে এখনো রয়েছে। তবে ইদানিং সেখানে যেন ভাটা পড়েছে।
সম্প্রতি নির্মাতা সকাল আহমেদ ইত্তেফাকের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ‘বাজেটের জন্য অনেককিছুই করা সম্ভব হয় না। যার জন্য নাটকের চরিত্র দিনদিন কমছে। তবে এরমধ্যেও ভিন্ন গল্প চিন্তা করা সম্ভব। সেটির চেষ্টা করা উচিত।’
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জুম্মার নামাজের পরেই বিক্ষোভ, সংঘর্ষ
ইউটিউবে নাটক প্রচারের পর থেকেই ভিউ দিয়ে গোনা হচ্ছে জনপ্রিয়তা। যদিও এই ভিউ নিয়ে অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতাদের ভিন্ন মত থাকলেও ভিউ গুনেই নাটকের কাস্টিং করা হয়। সেই জায়গায় থেকেও ভালো গল্পের নাটকও রয়েছে। এবার ঈদেও সেই চেষ্টা দেখা গেছে। নির্মাতারা বলছেন, একটি ভালো নাটকের জন্য যেমন ভালো গল্প প্রয়োজন তেমটি ভালো বাজেটও প্রয়োজন। সেই জায়গাটা ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ফিরবে।
ইত্তেফাক/এসআর