বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পিরোজপুরে ২০০ বাবুই পাখির ছানা হত্যা

এ নির্মমতার শেষ কোথায়!

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২১, ২১:৩০

ক্ষেতের ধান খাওয়ায় পাখির বাসায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ঝালকাঠির পাষণ্ড এক কৃষক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দুই শতাধিক বাবুই পাখির ছানা মারার অভিযোগ উঠেছে কৃষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার দক্ষিন ভবানিপুরে এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে।

স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর গ্রামের একটি জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন হেমায়েত হোসেন মোল্লাসহ কয়েকজন কৃষক। গত কয়েক দিন ধরে সেই জমির বোরো ধান খাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পাখি। ওই জমির পাশেই দুটি তাল গাছে রয়েছে বাবুই পাখির প্রায় শতাধিক বাসা। পাখি ধান খাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন ক্ষেতের মালিক হেমায়েত হোসেন মোল্লা। তারই নির্দেশে  গত ২-৩ দিন ধরে ওই গাছে থাকা বাবুই পাখির বাসাগুলো ভেঙে এর ভেতর থাকা ছানাগুলো হত্যা করেন তার ছোট ভাই লুৎফর রহমান মোল্লা।  

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত লুৎফর মোল্লার বড় ভাই হেমায়েত মোল্লা জানান, বিএডিসির প্রকল্পে ৫০ বিঘারও বেশি জমিতে আমরা তিন ভাই বোরো ধান রোপন করেছি। যার মধ্য থেকে বাবুই পাখিতে ২৫ ভাগেরও বেশি জমির ধান ইতোমধ্যে নষ্ট করে ফেলেছে। তাই আমার ছোট ভাই লুৎফর মোল্লা ও আমাদের দুই জন শ্রমিক কিছু পাখির বাসা ভেঙেছে। তারা কোন পাখি মারে নাই। হয়তো ওই বাসাগুলোতে কয়েকটা ডিম থাকতে পারে। বাবুই পাখি মারা এতোটা সহজ নয়।

রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন ইন্দুরকানী থানার ওসি হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। সেখান থেকে ১০/১২ টি বাবুই পাখির ছানা জীবিত উদ্ধার করেছি। উদ্ধারকৃত ছানাগুলো বাসায় রেখে বাসা গুলো গাছের সাথে বেঁধে দিয়েছি। যারা বাসা ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রক্রিয়াধীন আছে।

ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন ইন্দুরকানীর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মহ আল-মুজাহিদ। এ সময় তিনি বলেন, যারা বাসা ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
    
ইত্তেফাক/এনএ