সরকারিভাবে পাখি শিকার নিষিদ্ধ থাকলেও সংরক্ষিত এলাকা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রতিদিন পাখি শিকার করছে স্বয়ং হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যরা।
রামেক হাসপাতাল চত্বরে থাকা গাছে কয়েক বছর ধরে শামুকখোল, পানকৌড়ি, নিশি ও বাজকাসহ বেশ কয়েকটি জাতের বক পাখি বাসা বেঁধে বাসবাস করে আসছে। সংরক্ষিত এলাকায় এই পাখিগুলোকে বাইরের লোক শিকার করতে না পারলেও, হাসপাতালটিতে কর্মরত কিছু নির্দয় কর্মচারী রাতের আঁধারে, সুযোগ বুঝে, দিনের বেলায়ও জনসম্মুখেও পাখিগুলো শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে।
এমন অভিযোগ হাসপাতালটির আশপাশে অবস্থিত স্থানীয় দোকানদারদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকানদার জানান, রাতের আঁধারে হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যরা গাছে উঠে পাখির বাচ্চা, এমনকি মা পাখিকেও ধরে জবাই করে ব্যাগে ভরে নিয়ে যায় প্রতিনিয়ত। অনেক সময় বেকায়দায় পাখি নিচে পড়ে গেলে সেগুলোও নিয়ে যায়। এলাকাটি সংরক্ষিত হওয়ায় তারা এর প্রতিবাদ করতে পারে না।
তারা আরও জানায়, দিনের বেলায় কোনো মা পাখি তার বাচ্চার খাবারের জন্য নিচে নামলেই রক্ষা নেই। ঢিল ও হাতে থাকা লাঠি ছুঁড়ে ধরাশায়ী করে জবাই করে ব্যাগে পুরে বাসায় নিয়ে যায় আনসার সদস্যরা। এদিকে গাছে থাকা বাচ্চা অপেক্ষায় থাকে মা বাবা কখন আসবে আমাদের খেতে দিবে। কে জানে পাখিখেকো আনসার বাহিনী তার মা বাবাকে খেয়ে ফেলেছে। এখন তারা না খেয়ে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।
আনসার কর্তৃক হাসপাতাল চত্ত্বরে পাখি নিধন ও শিকার করার বিষয়টি হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, হাসপাতাল এলাকায় বসবাস করা পাখি শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোন পাখি অসুস্থ হয়ে নিচে নামলে তাকে চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে কোন কর্মচারী বা আনসার সদস্যরা পাখি শিকার করলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান হাসপাতালের পরিচালক। ছবি: আজাহার উদ্দিন
ইত্তেফাক/এসজেড