অসংখ্য উদ্ভিদ রয়েছে পৃথিবীতে। পৃথিবীতে সব উদ্ভিদই প্রায় অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন তেমনি প্রায় অনেক উদ্ভিদ ভেষজ গুণসম্পন্ন। আর এই উদ্ভিদগুলোর নানা ধরনের গুণ; তার মধ্যে ভেষজগুণ অন্যতম। অ্যালোভেরা এমনই গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা যা অনেকের কাছে ঘৃতকুমারী নামে পরিচিত। এই গাছটি সবুজ পাতার দুইপাশে কাঁটাযুক্ত এবং এই গাছের পাতার ভেতর থেকে যে তরল পদার্থ পাওয়া যায় তাকে অ্যালোভেরা জেল বলা হয়।
অ্যালোভেরায় রয়েছে ২০ ধরনের খনিজ। এছাড়া মানব দেহের প্রয়োজনীয় ৮ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডও পাওয়া যায়। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না কতটা প্রয়োজনীয় এই অ্যালোভেরা। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, দাঁতের যত্নে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে, মুখের ঘা সারাতে, রক্তচাপ কমাতে, হাড় ও মাংসপেশির জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া বর্তমান বাজারে নানা ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে পাওয়া যায়, যা কখনো কখনো উচ্চমূল্য দিয়ে কিনতে হয়। শুধু তাই নয় কিছু কিছু প্রসাধনী ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, কিছু কিছু প্রসাধনীর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ এই অ্যালোভেরা রূপচর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। অ্যালোভেরা ব্রণের সমস্যা দূর করতে যথেষ্ট কার্যকর। ত্বকের যত্নে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, মাথার খুশকি দূর করতেও।
অ্যালোভেরা গাছ ও পাতা দুটোই বিক্রি হয়। একটি অ্যালোভেরা গাছ থেকে ৬০-৭০টি পাতা বিক্রি করা যায়। তাই অ্যালোভেরা চাষ অত্যন্ত লাভজনক।
ইত্তেফাক/কেকে