শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাখিপ্রেমী শাহজাহান ডাক দিলেই ছুটে আসে শত শত পাখি

আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২১, ১২:২৬

জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিচে ঈশ্বর- এ অমর বাণী প্রতিফলিত হয়েছে কুমিল্লার কোটবাড়িস্থ বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর অফিস সহায়ক মো: শাহজাহানের কাজে। তিনি প্রকৃতি ও পাখিকে ভালোবাসেন। কিন্তু পাখির প্রতি ভালোবাসার প্রকাশের ধরণটা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়ে থাকে। কেউ বাসার খাঁচায় পাখি পোষতে ভালোবাসেন, আবার কেউ খাঁচার পাখিকে মুক্ত করে দিয়ে আনন্দ পান।

বার্ডের শাহজাহান তেমনি একজন ভিন্নধর্মী পাখি প্রেমী মানুষ। বার্ডে চাকরির পাশাপাশি পাখি ও জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করতে পারলে নিজেকে সুখী মানুষ ভাবেন তিনি। পাখিদের প্রেম ছুটির দিনেও দূরে কোথাও না গিয়ে যথাসময়ে পাখিদের খাবার বিলিয়ে দেন। পাখিরা এখন শাহজাহানের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ছুটে চলে আসে তার কাছে। মানুষের মতই পাখিদেরও প্রতিদিন ৩/৪ বেলায় গম, পাউরুটি, পরটা, খিচুরী খাবার খেতে দেন তিনি। ডাক দিলেই ছুটে আসে শত শত বিভিন্ন প্রজাতির রং বেরঙের পাখি। খাবারের আশায় প্রতিদিন অসংখ্য পাখির আনাগোনায় মুখর হয়ে থাকে তার অফিসের বারান্দা। 

নিজ খরচে পশু-পাখির প্রতি ব্যতিক্রমধর্মী এমন কাজে কেন উদ্বুদ্ধ হলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বাসসকে বলেন, সৃষ্টির সেবাই শ্রষ্টার ইবাদত। আত্মতৃপ্তির জন্যই তিনি পাখি, প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীদের ভালবাসেন। পাখি যখন আকাশে উড়ে বেড়ায় তখন তার খুব ভাল লাগে। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শুনলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মানুষের মত সব প্রাণির বেঁচে থাকার অধিকার আছে।

তিনি জানান, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কোটবাড়ি বার্ডের আইসিটি ভবন সংলগ্ন পল্লী সমাজতত্ত্ব ও জনমিতি অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় চাকরির পাশাপাশি নিজ খরচে পাখিদের ৩/৪ বেলা খাবার দিয়ে আসছেন। ওখানে প্রতিদিন দোয়েল, বুলবুলি, শালিক, ঘুঘু, হলুদিয়া, জালালী কবুতর, দেশি কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। কবুতরের জন্য গম এবং শালিক, ঘুঘু, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের জন্য পাউরুটি, পরটা, পুরি ও খিচুড়ি ক্রয় করে খাওয়ান। দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রকৃতি প্রেমী এমন শাহজাহান তৈরি হোক এমন প্রত্যাশা কুমিল্লা বাসির। বাসস

ইত্তেফাক/এসজেড