মনোহরদী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা অসচ্ছল ও দরিদ্র রোগীরা। চিকিৎসা নিতে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক না পেয়ে তারা ছুটছেন আশপাশের ক্লিনিকগুলোতে।
গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রসূতি মায়েদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি, মেডিসিন, শিশু, চর্ম ও যৌন, সার্জারি, চক্ষু, নাক-কান-গলা, অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজি ও এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের অনুমোদিত পদ রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে পাঁচটি পদই এখন শূন্য। বাকি পাঁচ পদের মধ্যে ডা. কারিমুল হাসান নরসিংদী সদর হাসপাতালে সংযুক্ত, ডা. লুবনা দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে রয়েছেন, ডা. মো. ইব্রাহিম বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে ও ডা. রোকেয়া সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেষণে আছেন।
একমাত্র অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট ডা. শহিদুল হক ডালিম বর্তমানে কয়েক মাস ধরে চিকিত্সা দিচ্ছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য বিভাগেও জনবলের ঘাটতি রয়েছে। নৈশপ্রহরীর দুই জনের এক জনও নেই। পাঁচ জন সুইপার পদে রয়েছেন এক জন। ওয়ার্ডবয়ের পাঁচ পদে দুই জন, পিয়নের চার পদে তিন জন, মশালচির দুই পদে এক জন রয়েছেন। সুপারভাইজারের দুটি পদই শূন্য রয়েছে।
এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম আহাম্মেদ বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক হলো হাসপাতালের প্রাণ। এখানে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক না থাকায় রোগীরা সঠিক পরামর্শ নিতে পরছেন না। নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের ১০টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। বর্তমানে চিকিত্সকের যে শূন্যতা রয়েছে, তা পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
ইত্তেফাক/এএইচপি