শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৪২ চিকিৎসক পদের ২৮টি শূন্য

আপডেট : ০২ জুন ২০২১, ১৩:১৬

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, মাত্র ১৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা। ৪২ চিকিৎসকের মধ্যে ২৮ জনের পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহববুর রহমান। আর হাসপাতালের অভ্যন্তরে কাজের জন্য ৫৪ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর জায়গায় আছেন মাত্র ২৫ জন। এছাড়া হাসপাতালের ১২ তলা নতুন ভবনের মধ্যে ছয়তলা ভবন নির্মাণের কাজও ঢিলেঢালা ভাবে হওয়ায় মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ারও সমস্যা হবে বলে জানা গেছে।

নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ৯টি সিনিয়র কনসালট্যান্ট পদ এবং আটটি জুনিয়র কনসালট্যান্টের পদ শূন্য রয়েছে। সিনিয়র কনসালট্যান্টের মধ্যে কার্ডিওলজি, মেডিসিন, চক্ষু, ইএনটি, শিশু, প্যাথলজি, গাইনি, অ্যানাসথেসিয়া এবং অর্থোপেডিক্স পদ শূন্য। অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় সব ধরনের অপারেশনের কাজও বন্ধ বলে জানা গেছে। অনেক সময় বাইরে থেকে অ্যানেসথেসিস্ট এনে অপারেশনের কাজ করানো হয়।

এছাড়াও মেডিক্যাল অফিসার এক জন, সমমানের সহকারী সার্জন সাত জন, প্যাথলজিস্ট এক জন, ডেন্টাল সার্জন এক জন এবং এক জন হোমিও মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। অন্যদিকে তৃতীয় শ্রেণির ৫৪টি পদের মধ্যে ২৯টি পদ শূন্য থাকায় হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজকর্মের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা ময়মনসিংহ অথবা ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যেতে বাধ্য হচ্ছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহববুর রহমান বলেন, ‘৪২ চিকিৎসকের মধ্যে ২৮ জনের পদ শূন্য রয়েছে। হাসপাতালের শূন্যপথগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু পদায়ন করা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেক কষ্টে হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে।’ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. একরামুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে পাঁচটি অফিসসহায়ক পদ ছিল, এগুলো বিলুপ্ত করায় হাসপাতালের পরিবেশ রক্ষায় সমস্যা হচ্ছে। অনেক কাজ নিজেদের করতে হচ্ছে।’

নেত্রকোনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসিবুর রহমান বলেন, হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে তার দপ্তর থেকে অন্তত ১৫টি চিঠি প্রদান করা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। রবিবার হাসপাতাল ভবন নির্মাণ এলাকায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি, তবে কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহববুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাকে জানিয়েছে।’

ইত্তেফাক/এমআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন