বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ও সার্জন না থাকায় হাসপাতালের সব ধরনের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স, এক্সরে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, জীবাণুনাশক ট্যানেলও বন্ধ রয়েছে। ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা পড়ছেন চরম বিপাকে।
উপজেলার দাউদপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, ‘আমার ভাইকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও সেখানে অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।’
উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, ‘হাসপাতালের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে করোনাকালীন অক্সিজেন জরুরি হওয়ায় এক্সরে মেশিনের পরিবর্তে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ অচিরেই শুরু করা হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় জানান, ড্রাইভার সাময়িক বরখাস্ত থাকায় হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পদে জনবল না থাকায় আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি বন্ধ রয়েছে। অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ও সার্জন না থাকায় হাসপাতালের সব ধরনের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আর অপারেটর থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে এক্সরে মেশিন ও জীবাণু নাশক ট্যানেল।
তিনি আরও জানান, এই দুরবস্থা নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
ইত্তেফাক/এমআর