শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনাকালের দিনপঞ্জি-৬

আমি আর বাবা প্রতিদিন গিটার বাজিয়ে গান করি : শেখ খালেদ আব্দুল্লা আল-ওয়াসী

আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২০, ১৭:৩৮

চলছে এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই। এই লড়াইয়ে বড়োদের পাশাপাশি ছোটরাও নানাভাবে যুক্ত রয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে চলছে ক্লাস, পরীক্ষা আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। সেইসঙ্গে সুস্থ থাকার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছোটদের কেউ কেউ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সবাইকে জানাচ্ছে কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ঘরে থাকার এই সময়ে কেউ ছবি আঁকছে, কেউ গান করছে, কেউ নাচ করছে, আবার কেউ গল্পের বই পড়ে সময় কাটাচ্ছে। এ পর্বে দিনযাপনের কথা লিখে পাঠিয়েছে আমাদের ছোট্ট বন্ধু শেখ খালেদ আব্দুল্লা আল-ওয়াসীতার কাছ থেকে শুনে নিই তার করোনার দিনগুলোর গল্প—

 

মনটা তেমন ভালো নেই। বাবা-মা বলেছে বাইরে করোনা আছে। তাই অনেকদিন বাবা-মা’র সাথে কোথাও বেড়াতে যাই না। স্কুলেও যাই না। বাইরে যেতে না পারার জন্য মনে একটু কষ্ট থাকলেও বেশ ভালো আছি। বাবা- মা-দাদা সবাইকে কাছে পেয়েছি। প্রতিদিন সকালে নাস্তা সেরে মায়ের কাছে বা দাদার কাছে পড়তে বসি। মা আমাকে খুব শাসন করে পড়ায়। তবে দাদা আমায় চুপি চুপি বলেছে, মা আমাকে খুব ভালোবাসে। মা চায় আমি যেন ভালোভাবে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হই। দাদার কথা আমার খুব ভালো লাগে। তাই আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি। দাদার কাছে আমি ইংরেজি শিখি। প্রতিদিন বিকেলে দাদার সাথে ফুটবল খেলি। দাদা আমার জন্য মজার ছড়া লিখে দিয়েছে। আমি ছড়া পড়ি। অনেক মজা লাগে। আমাদের জানালার পাশে প্রতিদিন একটা বানর আসে। আমাদের রাঁধুনি মাসি ওটাকে খুব আদর করে। খাবার দেয়। আমি ভাবি, আমাদের দেখতে আসে। কেমন আছি আমরা জানতে চায়। তাই আমিও বানরটাকে ভালোবাসি। মাঝে মাঝে বানরটা ঠোঁট বাঁকা করে হাসি দেয়। আমার বাবার কাছে জানতে চাই, বাবা, মাঙ্কিটা কি দুষ্টু? বাবা আমায় বলে, একটু দুষ্টু। তারপর বাবা গিটার নিয়ে গান বাজায়। আমি আর বাবা প্রতিদিন রাতের খাবারের পর গিটার বাজিয়ে গান করি। আমার খুব আনন্দ হয়। একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। স্বপ্নে দেখি- আমি প্রজাপতির মতো ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আবার কখনো স্বপ্নে দেখি, বাবা-মা’র সাথে বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি।

কেজি, ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা

লেখা পাঠানোর ঠিকানা : [email protected]