এই গাঁয়ে
এই গাঁয়ে বাস করে কত লোকজন
চারিদিকে ঘিরে আছে গাঢ় বেতবন।
নদীনালা খালবিল পুকুরের জল
গাছে গাছে ঝুলে আছে রকমারি ফল।
মনোরম সাজে রাঙা ফসলের মাঠ
সারিসারি নাও বাঁধা নদীতীর ঘাট।
রাখাল বাজায় বাঁশি কী মধুর সুর
ডানা মেলে পাখি উড়ে দূর বহুদূর।
নিশি ভোর হলে ফোটে কতশত ফুল
সুবাস ছড়ায় অতি নেই কোনো তুল।
গাঁয়ের মেয়েরা বোনে সুতো দিয়ে জাল
মাছ ধরে জেলেদের কেটে যায় কাল।
আঁকাবাঁকা মেঠোপথে সবুজের ছায়
পথিকেরা পায়ে হেঁটে হাটখোলা যায়
এই গাঁয়ে এইভাবে কেটে যায় দিন
মিলেমিশে বাস করে সুখ সীমাহীন।
টুনটুনির বিয়ে
দোয়েল শালিক ময়না শ্যামা
বুলবুলি আর টিয়ে
মনের সুখে গান ধরেছে
টুনটুনির আজ বিয়ে।
ময়ূর নাচে পেখম মেলে
মোরগ বাজায় ঢোল
ফিঙে চড়ুই রাঁধতে বসে
বোয়াল মাছের ঝোল।
ঘাসফড়িং আর প্রজাপতি
পরায় বিয়ের শাড়ি
জোনাইপোকার রঙিন আলোয়
সাজিয়ে দিলো বাড়ি।
জামাই সেজে আসলো টোনা
মাথায় টোপর পরে
টুনটুনিকে বিয়ে করে
তুলবে নিয়ে ঘরে।
বৃষ্টি এলে
বৃষ্টি এলে ডোবানালায়
ডাকে কোলাব্যাঙ
উচ্চ স্বরে আওয়াজ করে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ।
বৃষ্টি এলে পাখপাখালির
মুখ হয়ে যায় ম্লান
আপন নীড়ে সময় কাটায়
গায় না সুরে গান।
বৃষ্টি এলে ছাতা মাথায়
পথিক হেঁটে যায়
মাল্লা-মাঝি মজুর-চাষি
পড়ে বেকায়দায়।
বৃষ্টি এলে বন্ধ থাকে
বেচাকেনার হাট
কাদাজলে পূর্ণ থাকে
গাঁয়ের রাস্তাঘাট।