গুচ্ছ ছড়া
সুপান্থ মিজানের ছড়া

ছড়াগুলো পাখি হয়ে যায়
শব্দগুলো মনের মাঝে
ছন্দ মেখে ঘুরে বেড়ায়,
কল্পনাতে ডানা মেলে
নীলাকাশে উড়ে বেড়ায়।
গুনগুনাগুন গান গেয়ে সে
ফুলের বনে যায় বসে যায়
ডানপিটে মন বলগা হরিণ
বনবনানী যায় চষে যায়।
ছন্দতালের ছড়াগুলো
পাখি হয়ে যায় উড়ে যায়
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
মনের সুখে যায় দূরে যায়।
কিচিরমিচির মধুর সুরে
পাঠকমনে ঠাঁই করে নেয়
এলোমেলো কষ্টগুলো
একনিমেষে নাই করে দেয়।
পড়া চাই ঠিকঠিক
হুল হুল জুল জুল
পড়া হলে নির্ভুল
হিরেমালা গলেতে
আকাশেতে উড়ে যাবে
কষ্টেরা দূরে যাবে
হেঁটে যাবে জলেতে।
হুল হুল জুল জুল
লেখাপড়া হলে ভুল
খুলবে না দরজা,
হিরে সব চলে যাবে
ভূত এসে হেসে ক’বে
আরো বেশি পড় যা।
লেখাপড়া ঠিকঠাক
হবি তবে ফিটফাট
পাইলট হবি রে
সব বাধা ভেঙেচুরে
যাবে জানি বহুদূরে
এই কথা বলেছেন
আমাদের কবি রে।
ভোকাট্টা
আবুল বাবুল ঘুড়ি ওড়ায়
খেলছে কাটাকাটি,
খোকার সাথে দাদি ছাদে
করছে হাঁটাহাঁটি।
আবুল মিয়ার লাল ঘুড়িটা
উড়ছে রে ফনফন,
রঙ-বেরঙের ঘুড়ি দেখে
খুশি খোকার মন।
সাতরঙা সব ঘুড়ির মেলা
নীল আকাশে ওড়ে,
মেঘবালিকার তালি পেয়ে
যায় উড়ে যায় দূরে।
সুতায় সুতায় কাটাকাটি
বাবুল মারে টান,
লাল ঘুড়িটা ভোকাট্টা হয়
আবুল হারায় মান।
দাদি ছিলো ছাদে
লাল ঘুড়িটার বায়না ধরে
খোকাবাবু কাঁদে।