শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনাকালের দিনপঞ্জি-২১

স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুইটি নাটকে কাজ করেছি : ইশরাত জাহান অতিথি

আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২৫

চলছে এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই। লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেকটা সময়। বড়োদের পাশাপাশি ছোটরাও নানাভাবে যুক্ত এ লড়াইয়ে। স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে চলছে ক্লাস, পরীক্ষা আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। ঘরে থাকার এ সময়ে কেউ ছবি আঁকছে, কেউ গান করছে, কেউ নাচ করছে, আবার কেউ গল্পের বই পড়ে বা খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছে। এ পর্বে দিনযাপনের কথা লিখে পাঠিয়েছে খুদে তারকা ইশরাত জাহান অতিথি। শুনে নিই তার করোনার দিনগুলোর গল্প—

প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি তোমাদের বলব আমার গল্প, এই করোনার দিনগুলো আমি কীভাবে অতিবাহিত করছি, সেই গল্প। আমার নাম ইশরাত জাহান অতিথি। আমার বয়স ১০ বছর। আমি পি.বি মডার্ন চাইল্ড স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। আমি বড়ো হয়ে একজন ডাক্তার হতে চাই। ভালো লাগে ছবি আঁকতে, নাচতে এবং অভিনয় করতে। এর মধ্যে অভিনয় আমার সব থেকে বেশি পছন্দ। এজন্য অভিনয় নিয়ে অনেক কাজও করেছি। আমি এই করোনাকাল অতিবাহিত করছি একটু অন্যরকমভাবে। আগে সকালে উঠে স্কুলে যাওয়া লাগত। কিন্তু এখন ঘরে বসেই অনলাইনে ক্লাস করছি। এধরনের অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। কিন্তু সব থেকে বেশি মিস করছি আমার সহপাঠীদের। অনেকদিন হয়ে গেল তাদের সঙ্গে দেখা হয় না। ঘরবন্দি অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সময় কাটাচ্ছি আমার পরিবারের সাথে। বাবা, মা আর আপুদের সাথে ভালোই যাচ্ছে দিনগুলো। এই করোনার সময়ে আমি অনেক নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। মাঝে মধ্যে আমি রান্না করতে আম্মুকে সাহায্য করছি। আপুদের সাথেও নতুন নতুন রেসিপি বানিয়েছি। বিকেলের সময়টাতে আমি নৃত্যচর্চা করছি। নতুন নতুন নাচের ধরন শেখার চেষ্টা করছি। এছাড়া এ সময়টায় আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাচের ভিডিও বানিয়েছি। সময় পেলে ড্রয়িং করছি। আর সন্ধ্যায় নিয়মিত পড়াশোনা করছি। করোনার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের দুইটি নাটকে কাজ করেছি। আর এই প্রথমবারের মতো বাবার সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। বাবা এবং আমি একই ফ্রেমে অভিনয় করেছি। বাবা দিবস উপলক্ষে হরলিক্স-এর একটি শুট হয়েছে আমাদের বাসায়। এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল।

আশা করি খুব দ্রুত এই করোনা মহামারি থেকে আমরা সকলে পরিত্রাণ পাব। আমরা সবাই বাসায় থাকব। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হব না। আর যে যার অবস্থা থেকে যতটুকু পারব দরিদ্র-অসহায় মানুষদের সাহায্য করব। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকব। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব। বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করব এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখব।