দেশে প্রায় ৪০ হাজার রোগী দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বিশ্বে বর্তমানে ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত ও ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যায়।
এ রোগে আক্রান্তদের একসময় সম্পূর্ণ কিডনি বিকল হয়ে যায়। তখন ডায়ালাইসিস বা কিডনি সংযোজন ছাড়া বাঁচার উপায় থাকে না। এ দুটো চিকিৎসা পদ্ধতিই অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেই মানসম্মত কিডনি রোগ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিতে আজ ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২০। মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে—‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য সর্বত্র’।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহিদ ডা. মিলন হলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন ও কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পাস) যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ইত্তেফাক/এমআর