শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারে সচেতনতা থাকলেও আগ্রহ কম আত্মসচেতনতা

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২০, ০০:৪৯

গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে দুইজন ছিলেন প্রবাসী। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারিভাবে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর ও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারা বাইরে থেকে ফিরে সাবান বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তারপর থেকেই দেশে শুরু হয় রোগী শনাক্তের পর থেকেই চাহিদা বেড়েছে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের।

৯ই মার্চ বাজার থেকে যেন থেকে হঠাত্ করেই ‘উধাও’ হয়ে গেছে মাস্ক, হেক্সিসল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবাণু রোধে ব্যাবহার করা বিভিন্ন পণ্য। শহরের বিভিন্ন ঔষধের দোকান ও সুপারশপে এসব পণ্যের কোনো একটির দেখা মিললেও আরেকটি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তা বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে।

বিভিন্ন অফিস, আদালতসহ অধিকাংশ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হেক্সিসল হ্যান্ড র‍্যাব দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ অনেকটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে জীবাণু রোধে ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর মালামাল পাচারকালে গ্রেফতার ৩

আবার প্রবাসীরা যারা দেশে ফিরছেন তাদের সকলকেই কোয়ারেন্টিনে রাখা পাঠানো হয়েছে। যাদের হম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে তারা অনেকেই নিজ এলাকায় যেয়ে অবাধে বিচরন করছেন এবং আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঘরাফেরা করছেন।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে সবাইকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। যেন এই সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার না ঘটে। তবে হঠাৎ ছুটি পেয়ে নির্দেশনা না মেনেই ঘুরতে বেরিয়ে গেছেন অনেকে। ভিড় বাড়ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।

বিষয়টি নিয়ে জনগনের আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি করতে না পারলে সরকারের একার পক্ষে এই বিপর্যয়ের মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইত্তেফাক/বিএএফ
 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন