শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনার ঝুঁকিতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব সেলুন-পার্লার

আপডেট : ০৮ মে ২০২০, ১৬:১৫

কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন। করোনা ভাইরাসের তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। এমন অবস্থায়ও অনেকটা ডেকে হেকে চালু রাখা হয়েছে জেন্টস পার্লার, বিউটি পার্লার কিংবা মেকওভারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। 

ঈদ উপলক্ষ্যে ১০ মে রবিবার থেকে শপিং মল ও দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে ঝঁকি নিয়েই বিউটি পার্লার ও সেলুনগুলো খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছে তাদের প্রচারণা। ঈদ উপলক্ষে কেউ কেউ বিশাল ছাড়ের প্রচারণা চালিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছে, করোনার সংক্রমণ ছড়াতে পারে সেলুন কিংবা বিউটি পার্লার থেকেও। দাঁড়ি কাটার সময় যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়, তা থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে চুল বা দাঁড়ি কাটার সময় পানির যে স্প্রে ব্যবহার করা হয়, তার থেকে বিরত থাকা দরকার। যখন চুল কাটাতে বা শেভ করার সময় একজনের ব্যবহার্য অনেককিছুই অন্য আরেকজনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এতে শরীরে অন্যের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। যেমন চিরুনির ক্ষেত্রে একটি আরো ঝুঁকি বাড়ায়। একজনের মাথায় যে চিরুনিটি ব্যবহার করছে, সেটাও কিন্ত অন্য জনের মাথায় ব্যবহার করেছে। এতেও শরীরে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে।

তারা বলছেন, শুধু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নয় বরং এসব উপকরণ একাধিক জন ব্যবহার করায় হেপাটাইটিস, এইডসসহ অনেক ভয়ঙ্কর রোগের ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেলুনের মাধ্যমে উকুন ছড়িয়ে পড়াও খুব কমন বিষয়। এক্ষেত্রে সেলুনে গেলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, সেলুন ও বিউটি পার্লারের যন্ত্রপাতিগুলো জীবাণুমুক্ত করলে সংক্রমণ রোধ সম্ভব।

এদিকে, সরকারের অঘোষিত লক ডাউনে বিপাকে পড়েছে সেলুন কিংবা পার্লার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য সবকিছুর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ রয়েছে তার প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে অসহায় হয়েই সুযোগ নিতে হচ্ছে তাদের।

ফারাজ মেকওভার সেলুনের মালিক নুপুর ফরাজী ইত্তেফাককে বলেন, শুধু আমার খোলা রেখেছি বিষয়টাতো তা না। আমাদের মতো সারাদেশে অনেক সেলুন বা পার্লার খোলা রয়েছে। আমরা আমাদের পার্লার খোলা রাখলেও আমরা যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছি। আমরা হ্যান্ডসেনিটাইজার রেখেছি। এমনকি সব ধরণের প্রটেকশন নিয়েই কাজ করছি।

এমন কথা জানালেন রোজা’স মেকওভারের কাস্টমার এক্সিকিউটিভি সালমা। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছে আমাদের প্রতিষ্ঠাগুলো। এভাবে বন্ধ থাকলে আমরা বিপদে পড়ে যাবো। এমন অবস্থায় সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটি খোলা রাখছি তাও না। আমরা কেবল মাত্র অনলাইনে এপয়েন্টমেন্ট নিয়েই শুধু জরুরী ভাবে কিছু কিছু কাস্টমারকে সেবা দিচ্ছি। সেক্ষেত্রে আমরা পিপিইসহ সব ধরণের প্রটেকশন ব্যবহার করছি।


ইত্তেফাক/আরআই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন