বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঘর সাজাতে ‘ড্রিম ক্যাচার’

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:২২

মানুষ সবথেকে বেশি সময় অতিবাহিত করেন তার নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে। তাই সেই ঘর কে থাকার উপযোগী করতে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাঁজাতে চান তাদের মনমতো। রুচিমত ঘর সাজাতে অনেক রকমের জিনিস ব্যাবহার করে থাকেন। যেমন বিভিন্ন ধরনের খেলনা, ছবির ফ্রেমও হাতে বানানো নানা পণ্য দিয়ে। তবে ড্রিম ক্যাচারের ব্যাবহার হতে পারে অনেকটাই অভিনব।

ড্রিম ক্যাচার মূলত হাতেই তৈরি একটি শিল্প। এটি দেখতে অনেকটা চক্রাকার, গোলাকার ব্যাটের মত; গোলাকার অংশটি দেখতে হুবহু একটা মাকড়সার জালের ন্যায়। বানানো অনেক সহজ; কম সময়েই বানানো যায়; দেখতেও যেমন সুন্দর তেমনই আকর্ষণীও। ড্রিম ক্যাচার তৈরি হয় নানা রঙের পুঁথি, সুতো, কাপড়ের তৈরি লেজ, কাগজ, আর্টিফিশিয়াল পাখনা দিয়ে। তবে এখানে পাখানা গুলোই প্রধান ভূমিকায় থাকে। তার সাথে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট লাইট ব্যাবহার করে আরও বেশি আকর্ষণীও করে তোলা সম্ভব। নারীদের পক্ষে জিনিসটি তৈরি করে নিজেদের ঘরকে সহজেই সাজানো সম্ভব।

তবে এই ড্রিম ক্যাচার তৈরির পেছনে একটি মজার গল্প রয়েছে।

আমেরিকায় অবস্থানরত অজিবওয়ে গোষ্ঠীর এক নারী বাচ্চাদের গল্প শোনাতেন, তাকে ‘আসিবিকাশি’ বলে ডাকা হতো, এবং পাশাপাশি সেখানকার বাচ্চাদের দেখাশোনাও করতেন। কিন্তু, অজিবওয়ে গোষ্ঠী উত্তর আমেরিকায় স্থানান্তরিত হলে আসিবিকাশির সেই গোষ্ঠীর সকল শিশুদের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পরে। তাই সন্তানদের মা-দাদীরা মিলে ড্রিম ক্যাচার বানানোর সিদ্ধান্তে আসেন। তারা মাকড়সার জালের মত করে একটা অবয়ব তৈরি করেন সুতো দিয়ে; শিশুদের বলা হয় এ জালগুলো ‘যাদুর জাল’।

শুধু তাই নয়, তারা বিশ্বাস করতেন, এ জালগুলো তাদের সন্তানদের ঘুমনোর সময় সকল প্রকার খারাপ স্বপ্ন, খারাপ আত্মা এবং বদনজর থেকে রক্ষা করবে। তাদের মতে খারাপ স্বপ্নগুলো জালে আটকা পরে যাবে এবং ভাল স্বপ্নগুলো তাদের সন্তান পর্যন্ত পৌঁছাবে। তারপর থেকেই এ জিনিসটি ড্রিম ক্যাচার বলেই খ্যাতি পেয়েছে।

আগে শুধুই আমেরিকাতে এর প্রচলন থাকলেও এখন পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই এর ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। তাই বলা যেতেই পারে, ড্রিম ক্যাচার ঘরে ব্যাবহার করলে স্বপ্নের নকশাগুলো বাস্তবায়িত রূপ নেবে।

ইত্তেফাক/বিএএফ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন