শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শক্তি বাড়াতে দুধের সঙ্গে ঘি

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৪১

অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরির কারণে অনেকেই ঘি খেতে চান না। ঘি খেলে নাকি মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও যাদের হাই ব্লাডপ্রেসার বা কোলেস্টেরল রয়েছে তারা ঘি খায় না। এ নিয়ে নানা মত বাজারে প্রচলিত। কিন্তু ঘি আর দুধ যদি একসঙ্গে খাওয়া যায়?

চিকিৎসকদের মতে, দুধের সঙ্গে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিভিন্ন উপায়ে উপকারী। এটি কেবল বিপাকের উন্নতিই করে না, বাড়তি স্ট্যামিনার পাশাপাশি জয়েন্টে ব্যথাতেও উপশম করে। ঘিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যেমন পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। এতে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি এবং ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। তাই ঘি একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়।

১. স্ট্যামিনা বাড়িয়ে দেয়
প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে এক কাপ দুধ খান। অথবা গরম ভাতে ঘি খান। ওটস বানালে তাতে অল্প ঘি দিন। ক্লান্তি দূর হবে।

২. জয়েন্টে ব্যথা উপশম করে
আপনার খাদ্য তালিকায় দুধ ঘি রাখুন। যাদের দুধে সমস্যা তারা ল্যাকটোজ ফ্রি দুধ খেতে পারেন। জয়েন্ট পেইন অবশ্যই কমবে। আপনি যদি জয়েন্টের ব্যথাতে ভোগেন তবে তা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে দুধ এবং ঘি খাওয়া শুরু করতে পারেন। ঘি জয়েন্টগুলি লুব্রিকেট করে এবং প্রদাহ দূর করে, দুধ হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। জয়েন্টে ব্যথার ক্ষেত্রে এক গ্লাস দুধে এক চামচ ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পান করুন।

৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
হজমের নানারকম সমস্যায় সকলে ভুগে থাকেন। দুধ আর ঘি একসঙ্গে খেলে সেই কঠিন এনজাইমকে ভেঙে সহজপাচ্য এনজাইমে পরিণত করে। এমন নয় যে দুধে ঘি মিশিয়ে খাবেন। খাদ্য তালিকায় এই দুই রাখুন। দুধে ঘি মিশিয়ে পান করলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বা হজম শক্তি দুর্বল হয় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন দুধে ঘি মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি মজবুত হয়।

৪. মেটাবলিজম ঠিক রাখে
ঘি এবং দুধ মানবদেহে মেটাবলিজম ঠিক রাখে এবং শরীরে এনার্জি দেয়। ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। ঘি এবং দুধের সংমিশ্রণ শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং বিপাক উন্নত করে। এছাড়াও এটি শরীরকে ডিটক্সাইফাই করে এবং সমস্ত টক্সিন বের করে দেয়।

ইত্তেফাক/এনএসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন