শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাড়ছে সংক্রমণ, এখনই বদলান সাত অভ্যাস

আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, ১৪:৪৫

প্রতিদিনই ঢাকার হাসপাতালগুলোতে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তারপরও কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। এক পরিসংখ্যানে বলছে, ঢাকার করোনায় আক্রান্তদের ৬৮ ভাগই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। আর সীমান্তবর্তী জেলাসহ অর্ধশতাধিক জেলায় সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।

দেশে করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেলটার (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট) কমিউনিটি ট্রান্সমিশন দৌড়ে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। স্বাস্থ্যবিধি তো মানতে হবেই পাশপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। শুধু আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি নয়, ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে অপরিচ্ছন্ন থাকলেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু অভ্যাস আছে যা করোনার সংক্রমণ বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

১.হাতের নখ রাখা ও নখ দাঁত দিয়ে কাটার অভ্যাস। অনেকেরই এ ধরনের অভ্যাস আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভ্যাসে জীবাণু সরাসরি হাত থেকে মুখে চলে যেতে পারে।

২.অনেকেরই মুখে ব্রণের সমস্যা থাকে।  সেটা আবার অনেকে খুঁটে থাকেন। এই অবস্থায় ভুলেও এ ধরনের কাজ করা ঠিক হবে না। কারণ নখেই থাকতে পারে করোনা ভাইরাস।

৩.অনেকেই দুই-তিন সপ্তাহ পর পর বিছানার চাদর বদলান। কিন্তু এই সময়ে এটা করা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত দুই বার বিছানার চাদর পাল্টে ফেলুন বা ধুয়ে দিন।

৪.যখন তখন চুলে হাত দেওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করুন। কারণ মাথায় বুলালে সেখানে প্রথমেই যায় হাত, পরে সেটা মুখে লেগে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৫.একই প্লেটে একাধিক ব্যক্তির খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এটা সব সময়ের জন্যই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। করোনাকালীন তো আরো করা উচিত না। অন্যদিকে, একই প্লেট থেকে খাবার শেয়ার করার দরকার নেই। পরিবারের সদস্য হলেও এখন এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।

৬.প্রতি বেলায় খাবরের পর অনেক সময় দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকে, তখন অনেকে সেটা আঙুল দিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময়টাতে এটা একেবারেই করবেন না। কারণ আঙুল থেকে করোনা দেহে প্রবেশ করতে পারে।

৭.বেসিন যদি টয়লেটের মধ্যে থাকে তাহলে সেখানে টুথব্রাশ রাখবেন না ৷ তাহলে সংক্রমণের সম্ভবনা বাড়তে পারে। 

ইত্তেফাক/আরএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন