শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রেমের বারান্দায় হাঁটতে চান? নতুন সম্পর্ক গড়তে কী করবেন

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২১, ১৫:২৮

ভালোবাসতে কোনো অজুহাতের দরকার হয়না। যখন-তখন মনের জানালায় প্রেম উঁকি দিতে পারে। তাইতো বলা হয়, প্রেমের কোনা সময় নেই, প্রেমের কোনো বয়সও নেই। কিন্তু অনলাইনের এ যুগে প্রথম দর্শনে ভালোবাসার সেই দিন ফুরিয়েছে। আর প্রেমের কথা যে চিঠি লিখে প্রকাশ করা সম্ভব, হয়তো এ বিষয়টিই জানেই না এখনকার ছেলেমেয়েরা! 

সম্পর্ক এখন তৈরি হচ্ছে অনলাইনে। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে মন ফ্রেশ করতে অধিকাংশ মানুষই নেটপাড়ায় সময় কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে মনের মতোন সঙ্গীও খুঁজে নিচ্ছেন। আর ডেটিং-এ ভরসাও সেই চ্যাট আর ভিডিও কল। তারপর দুই-তিনবার কফি ডেটের পর সেই সব সম্পর্ক বিদায়ও নিচ্ছে একে অপরের থেকে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি প্রেমের সম্পর্ক গড়তে চাইলে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু শর্ত। সম্পর্কের ভিতকে শক্ত করতে কী কী মানতে হবে জেনে নিন।

এক নজরে 

  • প্রেমের সম্পর্কে সততা দরকার। সঙ্গীর কাছে নিজেকে জাহির করতে মিথ্যা বলবেন না। 
  • সম্পর্ক গড়তে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তার শখ, ইচ্ছাকে সম্মান করুন।
  • যেকোনো সমস্যায় একে অন্যের পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
  • সম্পর্কের ভিতকে শক্ত করতে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। ব্যস্ততা থাকলেও দেখা করুন, কথা বলুন।
  • ভালোবাসার সম্পর্কে বিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমিক-প্রেমিকার আগে, দুজন দুজনের ভালো বন্ধু হয়ে উঠুন।   

সততা
সব সম্পর্কেই সততা দরকার। মিথ্যা দিয়ে গড়া কোনো কিছুই বেশিদিন স্থায়ী হয়না। দুজনের সম্পর্কে একে অন্যের কাছে বেশি বেশি জাহির করতে গিয়ে মিথ্যা বলেন অনেকে। সম্পর্কে এই মিথ্যে কথা একেবারেই ঠিক নয়। সব সময় মনে রাখবেন, আপনার নিজের যতোটুকু রয়েছে তাই নিয়েই খুশি থাকুন। অযথা মিথ্যে বলে সঙ্গীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার কিছু নেই।   

বিশ্বাস
বিশ্বাসে গড়ে মধুর সম্পর্ক আর অবিশ্বাসে ভেঙ্গে যায় প্রেমের সব সুর। তাই সম্পর্কে বিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমিক-প্রেমিকার আগে, দুজন দুজনের ভালো বন্ধু হয়ে উঠুন। একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তাহলেই দ্বিধার দরজা খুলে একে অন্যের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারবেন। তাই যতো বিশ্বাস থাকবে সম্পর্কে ততোটাই এগিয়ে যেতে পারবেন আগামীর পথে। 

শ্রদ্ধা
সম্পর্ক গড়তে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কারো সাথে সম্পর্ক গড়তে গিয়ে হয়তো অনেকের থেকে বাছাই করে নিতে হয় কিন্তু আপনার যার সঙ্গেই দেখা হোক না কেন, যার সঙ্গেই আলাপ হোক না কেন মানুষ হিসাবে তাকে সম্মান করুন। সঙ্গীর মানসিকতায় আঘাত না করা, তার ব্যক্তিগত সম্পর্কে জোর করে ঢুকে না পরা, তার শখ, ইচ্ছা কিংবা মনোভাবকে নিয়ে কখনোই ঠাট্টা-তামাশা করবেন না।

সব সময় পাশে থাকুন
যেকোনো সমস্যায় একে অন্যের পাশে থাকার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি, পাল্টা দোষারোপ এসব চলতেই পারে। তাই বলে কেউ কখনো একে অন্যকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববেন না। মানসিক-আর্থিক সমস্যায় পড়লে একে অন্যকে সাধ্যমত সাহায্য করুন। টাকা নেই বলে দূরে ঠেলে দেবেন না।

একে অন্যকে সময় দিন
সম্পর্কের ভিতকে শক্ত করতে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। না হলে দেখা যাবে খুব ভালো সম্পর্ক, অনেকদিনের জানাশোনা সম্পর্কও ফাটল ধরে। নাগরিক জীবনে কাজের ব্যস্ততা তো থাকবেই। তাই বলে একদমই সময় বের করে দেখা করা যাবে না, তা কিন্তু নয়। একে অন্যের গুরুত্ব বুঝতে হবে, পছন্দ জানতে হবে। তবেই না সম্পর্কেও বন্ধন হবে দৃঢ়, সুন্দর ও প্রাণোচ্ছ্বল। 

ইত্তেফাক/আরএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন