বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার পর কী করবেন 

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:০৪

দেড়টা বছর ধরে জ্বর শব্দটি সবার কাছেই আতঙ্কের। কোভিড অতিমারির সংকটে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। যারা সুস্থ হচ্ছেন তাদের কিছু বিষয়ে সর্তক থাকাটা খুব দরকার। ডেঙ্গু  থেকে সেরে ওঠার পরেও হালকা জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ছাড়াও পেশিতে, মাথায়, চোখের পেছনে ব্যথা থেকে যেতে পারে। ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার পর কী কী সর্তকতা অবলম্বন করবেন,  জেনে নিন। 

  • নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা নিজেরই কাছে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। বাড়ির চারপাশে বৃষ্টির পানি জমতে দেওয়া চলবে না। টব, বাতিল টায়ার, পাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ভেতর পানি জমে মশা বংশ বিস্তার করতে পারে। তাই এগুলো ফেলে দিন। 
  • দিনে-রাতে যখনই ঘুমাবেন তখন অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাবেন। মশা সুযোগ পেলেই ঘরে ঢুকে কামড়ে দিতে চায়। কিন্তু একদম সকালে ও সন্ধ্যার সময়টাতে বেশি সংখ্যক মশা ঘরে প্রবেশ করে। এই সময়টায় দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন। 

  • আলমারির পেছন, খাটের তলায়, ঘরের অন্ধকার কোণগুলোতে মশা বিশ্রাম নেয়। এই জায়গাগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সুস্থ হওয়ার পর বেশি পরিশ্রমের কাজ করতে যাবেন না। বিশ্রাম নেওয়া খুব দরকার। সময় মত  ঘুমাতে চেষ্টা করুন। কর্মক্ষেত্রে যোগ না দিয়ে কিছুদিন শুধু বিশ্রাম নিন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন। ধূমপান, মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। এতে আপনার শরীর আরো দুর্বল হয়ে যাবে। 

  • খাবারের মধ্যে টক জাতীয় ফল যেমন লেবু, বেদানা, আমলকী, আমড়া অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও গমের রুটির বদলে জবের রুটি যদি খেতে পারেন খুব ভালো। 
  • এ সময়টাতে শরীর দুর্বল থাকে বলেই ডাবের পানি পান করতে পারেন। সারা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ডাবের পানি অবশ্যই পান করবেন। এটি পথ্য হিসাবে কাজ করবে। পাশপাশি বিভিন্ন মৌসুমী ফলের জুস পান করার চেষ্টা করুন।

  • তুলসী পাতা এবং মধু পানিতে গরম করে ফুটিয়ে সেই পানি খালি পেটে পান করবেন। দারুন কাজ দেবে। এছাড়া পেঁপে পাতার রস এই রোগে দারুণ উপকারী। পেঁপে পাতা বেটে সেই রস পান করলে ভালো উপকার পাবেন।  এর সাথে জোষ্ঠি মধু  খেয়ে নিবেন। আর প্রতিদিন একটি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খাবেন।
  • সবশেষে বলে রাখা ভালো, ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠর পর পুনরায় জ্বর হলে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হন। তিনিই রোগ নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। 

ইত্তেফাক/আরএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন