শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গর্ভাবস্থায় যে নিয়মগুলো না মানলেই নয়

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫৩

মাতৃত্বের বিভিন্ন পর্যায় থাকে। তারমধ্যে গর্ভকালীন সময়টা বেশি কঠিন৷ এই সময়ে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন তো হতেই হয় আবার নানাবিধ সমস্যার মাঝ দিয়ে টিকে থাকতে হয়। সকল বাধা-বিপত্তি পাড়ি দিয়ে নিজের সন্তানের মুখ দেখার সাথে সাথেই মা সকল কষ্ট ভুলে যায়। বরং এক ধরণের স্নিগ্ধ আত্মতুষ্টি তার চোখেমুখে খেলা করে আর সেই আনন্দেই তো ঘর কিংবা সংসার৷ 

সময় বদলেছে। নারীকে ঘর এবং বাহির দুদিকই সমান তালে সামলাতে হয়। গর্ভাবস্থায় অন্তত যেমন আরাম প্রয়োজন তা ঠিক পাওয়া হয়না। এতে নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। একইসাথে আরো কিছু সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর একটি জরিপ সত্যিই চাঞ্চল্যকর। তাদের জরিপ অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা জানান, "বর্তমানে আনুপাতিক হারে দশজন শিশুর মধ্যে একজনের বেশি শিশু ৪০ সপ্তাহের পূর্ণ গর্ভকালীন সময় পার হওয়ার আগেই ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।"

সমস্যাটা আসলে কোথায়? সচরাচর কোনো শিশু ৩২-৩৭ সপ্তাহের মধ্যে ভূমিষ্ঠ হলে সাধারণ শিশুর মতো প্রথম কদিন পার করতে পারেনা। তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে অক্সিজেন সাপোর্ট এবং ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন হয়৷ কোনো শিশু তারও আগে জন্মগ্রহণ করলে ইনটেনসিভ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। এগুলো তো সমস্যা। তবে এসকল সমস্যা ঝামেলা সৃষ্টি করলেও কিছু কিছু নিয়ম মায়েদের মেনে চলতে হবে। সেগুলো আসলে কি? আসুন জেনে নেই। 

  • নিজের মানসিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। গর্ভাবস্থায় সহজেই মন খারাপ বা বিষন্নতায় আক্রান্ত হতে পারেন। এসময় স্ট্রেস হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছুনা। গর্ভাবস্থায় নিজের স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। কাজটা সহজ নয় তবে চেষ্টা করা উচিত৷ আপনি নিজে যদি তা করতে না পারেন পরিবারের সাহায্য নেয়ার চেষ্টা করুন৷ খুব বেশি ঝামেলা হলে পেশাদার বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। 
  • শহরে ধুলো-বালি, ধোঁয়ার সমস্যা এড়ানোর উপায় নেই তবুও চেষ্টা করুন এড়িয়ে চলতে। একইসাথে ধূমপানের স্বভাব থাকলে গর্ভাবস্থায় তা বাদ দেয়া উচিত৷ আপনার সঙ্গীও ধূমপান করলে তাকে নিবৃত্ত করুন। এতে আপনার শিশু সুস্থ থাকবে। 
  • হাজার ব্যস্ততা সত্ত্বেও ডাক্তার দেখানো থেকে বিরত থাকবেন না। যত সমস্যাই হোক, নিয়মিত ডাক্তার চেকআপ করাবেন। কোনো কনসালটেশন বাদ দিবেন না। ঔষধপত্র যথাসময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। সেটা আপনি যতই খামখেয়ালি হয়ে থাকুন না কেন।  

ইত্তেফাক/এআই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন