মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফায়দা লোটার সিন্ডিকেট শনাক্ত

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০১:২০

গুজব সৃষ্টি করে লবণের মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেট শনাক্ত করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এই তালিকায় আছেন রাজনৈতিক নেতা, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ। কয়েক দিন আগেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা লবণের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দাদের নেটওয়ার্কে ধরা পড়ে। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ প্রশাসনকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসনকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে সারাদেশে অনুসন্ধান চালালে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের নাম চলে আসে। সিন্ডিকেটের সদস্যদের তথ্য আদান-প্রদান, ফোনালাপ ও বিভিন্ন স্থানে বৈঠকের চিত্র গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে। এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একটি দূতাবাসের ইন্ধন পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

ইতিমধ্যে সরকারকে গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। শুধু লবণ নয়, তেল-চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিরও পাঁয়তারা করছে ঐ সিন্ডিকেট। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই তাদের মূল টার্গেট।

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির ধকল কাটতে না কাটতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার গুজব ছড়িয়ে চলে লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাই লবণ কিনতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। আর এতে তৈরি হচ্ছে নানা বিশৃঙ্খলা। লবণের দাম বাড়াতে একশ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গুজবের সুযোগ নেয়। গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা থাকে কম-বেশি ১ লাখ টন। অথচ লবণের মজুত আছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

আরো পড়ুন: চাবি দিয়ে এটিএম বুথের মেশিন খুলে ৯ লাখ টাকা লুট

সেই হিসাবে লবণের সংকট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দামও বাড়ার কোনো কারণ নেই। এদিকে সার্বিক অবস্থা অনুসন্ধান করতে গোয়েন্দারা কয়েক দিন আগে থেকেই মাঠে নামেন। সিন্ডিকেটের সবাইকে চিহ্নিত করতে এখন সারাদেশে মাঠে রয়েছেন গোয়েন্দারা। পেঁয়াজ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সিন্ডিকেটের কয়েক সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই তথ্যও গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে। তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজনীতিবিদ, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পেঁয়াজের পর চালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চালায়। কিন্তু যেহেতু কৃষকের ঘরে ধান উঠতে শুরু করে, এ কারণে গুজব ছড়িয়ে চালের দাম বাড়ানো সম্ভব হয়নি। এর থেকে তারা পিছু হটে। তাই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা লবণের বাজারকে টার্গেট করে।

ইত্তেফাক/বিএএফ