শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

'বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডের মাত্র দুই শতাংশ পায় গরিবেরা'

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৪৯

বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে আন্তর্জাতিক অনুদানের মাত্র ১০-২০ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর হাতে পৌঁছে। তার মধ্যেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃত বিপর্যস্ত জনগণ পান মাত্র দুই শতাংশ। এমন তথ্যই দিয়েছেন 'আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন' সংস্থার পরিচালক ড. সলিমুল হক। ২০১৯ সালের জলবায়ু নীতি ইস্যুতে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন বাংলাদেশি এই গবেষক।

ড. সলিমুল হক জানান, উন্নত দেশগুলো ২০২০ সাল থেকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও উন্নয়নে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এর কোন ভরসা নেই। কারণ যখন প্রতিশ্রুতি রক্ষার সময় আসে তখন তাদের কাছ থেকে মাত্র ২০ শতাংশ ফান্ডই পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, প্রাপ্ত ২০ শতাংশ বৈশ্বিক ফান্ডের মাত্র ১০ শতাংশ পায় বাংলাদেশ ও তার মত দেশগুলো। এই ১০-২০ শতাংশের মাত্র ২ শতাংশ পৌঁছায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে।

এই গবেষক বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুদান পায়, কিন্তু সেই অনুদানের টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে পৌঁছায় না। এটা সরকারের একটি চরম ব্যর্থতা। বাংলাদেশে ঠিকই টাকা আসছে, কিন্তু গরিবরা তা পাচ্ছে না। এটা আমাদের মত অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও সত্য।

আরও পড়ুন: দেশের মানুষই এখন দানব হয়ে যাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি

ড. সলিমুল হক ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘ আয়োজিত সবকটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন ইস্যুতে অবদান রাখার জন্য ২০১৯ সালে ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নেন প্রথিতযশা এই বাংলাদেশি গবেষক।

তিনি বাংলাদেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের 'আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন' সংস্থার পরিচালক। এছাড়া তিনি 'ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এণ্ড ডেভেলপমেন্ট' এর সিনিয়র ফেলো পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। জলবায়ু ইস্যুতে জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড আদায় করার জন্য ও বহুপাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি এই জলবায়ু গবেষক।

ইত্তেফাক/এসএইচএম