মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের দরকার ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৩২

ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের দরকার ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবু ধাবিতে গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  আমরা বুঝি না ভারত সরকার কেন এই কাজটি করলো। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও সবসময় বলে আসছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। 

নাগরিকত্ব আইন (সিএএন) সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুসহ কয়েকটি ধর্মাবলম্বীদের ভারত তাদের দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এছাড়া এই নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ।    এছাড়া জাতীয় নাগরিক তালিকারও বিরোধিতা করছে সাধারণ মানুষ। 

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ভারতে পাড়ি দেওয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এমন নজির নেই। কিন্তু ভারতে নাগরিকরা এই আইন সংশোধন হওয়ার কারণে অনেকে সমস্যার মধ্যে রয়েছে। 

এছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন ,  মিয়ানমার থেকেই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু। তাদের কাছেই এর সমাধান রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এখন পর্যন্ত দুবার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চায়নি। ফলে আমাদের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমার আসলে প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সমস্যা থাকলে আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।  এসময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

 বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুতের দিকে মনোযোগ বাড়ালেও এক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে সাক্ষাতকারে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এতদিন গ্যাসের উপর নির্ভর করত। কিন্তু গ্যাস ফুরিয়ে আসায় উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এখন কয়লাসহ অন্য উৎসের দিকে নজর দিতে হচ্ছে।

এছাড়া প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০২ সালে বাংলাদেশে একবার পলিথিন নিষিদ্ধ করাও হয়েছিলো। এখনও উপকূলীয় অঞ্চলে হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলোতে প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখনও শতভাগ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে সফল হয়নি। মূলত কম টাকায় বিকল্প তৈরি করা যায়নি এখনও। তবে পরিস্থিতি পাল্টেছে। পাট দিয়ে ব্যাগ তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। আমি এর নাম দিয়েছে সোনালি ব্যাগ। আমাদের পাট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন এটা কমদামে বাজারজাত করা হয়।

ইত্তেফাক/এআর