দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বদলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসিতে দেশের ৩৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে একত্রে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে, সেভাবেই চারটি আলাদা গুচ্ছে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কৃষি ছাড়া বাকি গুচ্ছগুলো হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং সাধারণ। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা। সমমনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চারটি গুচ্ছে ভাগ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু পাঁচটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় আসছে না, তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট ছাড়া, বিশেষ করে সিট বণ্টনে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু সমস্যা হতে পারে, যেগুলো নিয়ে সার্বিক আলোচনার পরেই আমরা গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার ফরম্যাটে গিয়েছি। এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আরেকটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
কাজী শহীদুল্লাহ আরও বলেন, এজন্য ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগমকে সমন্বয়কারী হিসেবে রেখে বিষয়গুলো মনিটর করার জন্য কমিটি করে দেওয়া হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে কমিটিগুলো করার জন্য আমরা আবার বসব। এসব গুচ্ছের আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে, তাই তাদের আলাদাভাবেও বসতে হবে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ চূড়ান্ত বিষয়গুলো জানা যাবে।
নিজস্ব আইনে চলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আনতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় একেকটি গুচ্ছের পরীক্ষার নেতৃত্ব দিবে যেটাও ওই সময় ঠিক করা হবে। আমরা চাই সবাই আসুক, যারা কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় আসতে রাজি হয়নি, তারাও যদি গুচ্ছ পরীক্ষায় আসতে চায় আমরা স্বাগত জানাব।
আরও পড়ুন: করোনার কারণে শুটিং বিশ্বকাপে থাকছে না ছয়টি দেশ
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, জগন্নাথের মতো সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো রয়েছে, সেগুলোতে তিনটি করে পরীক্ষা হবে। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের জন্য আলাদা তিনটা পরীক্ষা হবে। এছাড়া অন্য গুচ্ছগুলোতে একটি করে মোট ছয়টি পরীক্ষা হতে পারে। আরা যারা ডিসিপ্লিন পরিবর্তন করতে চায়, তাদের জন্যও ব্যবস্থা থাকবে।
এ সময় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম ও অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
ইত্তেফাক/আরআই