শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, এক সময় আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল শূণ্য দশমিক শূণ্যর কোঠায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটা ১৭ শতাংশে উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষার দিকে জোর দিয়ে দেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ২০২১ সালে সারা দেশে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সংলগ্ন আব্দুর রশিদ টেন্ডলের ঘাটাস্থ চট্টগ্রাম লিজেন্ড স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের একটা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাবারা যতই জিন্দাবাদ, জয়বাংলা বলো, কোনো লাভ নাই। মাটির কাজে হাত লাগাও, পরিবারের সাথে হাত লাগাও, কারিগরি প্রশিক্ষণ নাও, দক্ষতা অর্জন করো। আজকে বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই। আমাদের সৌভাগ্য সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছেন। তারা বেঁচে আছেন বলেই বাংলাদেশ বেঁচে আছে কষ্ট করে টেকসই কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র সন্তানদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানালেই যে সে সফল হবে এই মানসিকতাটুকু আপনারা পরিহার করেন। গতানুগতিক চিন্তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা অনেক পূর্বেই এই শিক্ষাটুকু ধারণ করতে পারতাম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ব্রিটিশের কেরানীবান্ধব শিক্ষাকে আমরা আভিজাত্যের বিষয় বলে মনে করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ সালাম। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো: কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুল হক।
বিদ্যালয়ের পরিচালক এসএম জাহাঙ্গীর আলম সুমনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু রায়হান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আইয়ুব,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন, বিদ্যালয়ের পরিচালক মো: সেলিম, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ আব্দুল্লাহ, এডভোকেট রিদুয়ান গণি, মোঃ নুরুল হক, মোঃ মাহফুজ বাপ্পা, মোঃ আলমগীর, খোরশেদ আলম চৌধুরী, জোবায়েত ইলিয়াছ, কামরুল ইসলাম, খোরশেদুল আলম, সমাজ সেবক আহমদ ছগির, মোহাম্মদ আইয়ু্ব,মহিউদ্দিন ইমন, সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন রানা প্রমুখ।
শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোকমান হোসেন, ইসরাত জাহান, জেসমিন আকতার, জাহাঙ্গীর আলম, সেলিনা আকতার, জান্নাতুল নাঈমা, পায়েল ধর, ফারজান আকতার, জেসমিন আকতার প্রমুখ।
ইত্তেফাক/ইত্তেফাক