নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় চীন সরকারের সহায়তা হিসেবে টেস্ট কিট, ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণসহ (পিপিই) বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিশেষ কার্গো বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম এসে পৌঁছানোর পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের কাছে তা হস্তান্তর করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এর আগে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ৫০০ টেস্ট কিট দিয়েছিল চীন।
দ্বিতীয় দফায় আসা এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার টেস্ট কিট, চিকিৎসক-নার্সদের জন্য ১০ হাজার পিপিই, ১৫ হাজার এন৯৫ মাস্ক এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সাংবাদিকদের বলেন, চীন এখনো করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। আমি আশা করি, চীন ও অন্য দেশের সহায়তায় বাংলাদেশও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়ী হবে। এজন্য সবাইকে আত্মবিশ্বাসী হওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, কিছু দিন আগে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার চীনের জনগণের জন্য অনেক সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল। তার প্রতিদান হিসেবে আমরা এই সহায়তা করছি। করোনা মোকাবেলায় চীন থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসার ব্যাপারে জিমিং বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। বেইজিং থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। তবে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সরা চীনের বিশেষজ্ঞের সহায়তা এখনই নিতে পারে। তিনি বলেন, ভাইরাসটি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছে। অনেক দেশে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বাংলাদেশ এখনো সেই তুলনায় আক্রান্ত হয়নি। ওই আক্রান্ত দেশের দিকে আমরা এখন বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।
চীনের চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম কার্গো বিমানে এসেছে। দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে আমরা এ ধরনের উপহার বিনিময় করেছি। করোনা মোকাবেলায় চীনা প্রতিষ্ঠান আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মা’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম আগামী রোববার আসছে বলে জানান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি- ৩০ হাজার টেস্ট কিট এবং ৩ লাখ মাস্ক আসছে। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় জ্যাক মা জানান, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশকে মাস্ক ও পরীক্ষার কিটসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম দেবেন তিনি।
ইত্তেফাক/আরএ