শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন

জুনে ৩০৮ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার

আপডেট : ০২ জুলাই ২০২০, ২১:১০

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে গত জুন মাসে দেশে ১০১ জন  নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়।

উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

গতকাল বুধবার (১জুলাই) পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু স্বাক্ষরিত উক্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় ধর্ষণের শিকার ১০১ জনের মধ্যে ৬৯ জন ধর্ষণ ও ২৫ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।এসময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে। উক্ত একমাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৩ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬ জন। একই সময় এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে  ৪ জন, তন্মধ্য অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গতএক মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ১৪ জন। এসময়ে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় ১জনকে। একই সময় বিভিন্ন কারণে ৬২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ৫ জনকে। 

প্রতিবেদনমতে, এসময় গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে ২ জন এবং  ১ জন গৃহপরিচারিকার আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। গত মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ৭ জন নারীকে। একই সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ জন নারী ও কণ্যাশিশু এবং উত্ত্যক্ত করা হয় ৫ জনকে।গত এক মাসে বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৪ জন নারী ও কন্যা শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এসময় ফতোয়ার শিকার হয়েছে ১ জন। বাল্যবিবাহ হয়েছে ১ জন কন্যা শিশুর। 

এছাড়া নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন নারী ও শিশু। মহিলা পরিষদ মনে করে করোনাকালে নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সকল তথ্য গণমাধ্যম পর্যন্তপৌঁছে না। নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ কওে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ দ্রুত গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানায়। এ ধরণের প্রতিরোধে আশু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার, প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ইত্তেফাক/এএএম