শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ লাখ মানুষ

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২০, ১৬:০০

১৪ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ লক্ষাধিক মানুষ। এরমধ্যে শুধু জামালপুরের সাত উপজেলায় ৪৯টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা তিন লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৯ জন। রবিবার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে। 

বন্যা পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ,  টাঙ্গাইলে বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর ও ঢাকায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। 

যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গঙ্গা-পদ্মা নদী সমূহের পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। 

রবিবার (৫ জুলাই ) সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী- কুড়িগ্রামের ধরলায় বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। জামালপুরের বাহাদুরাবাদে যমুনার পানি বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ১৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হয়। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একই নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের হিসাবে- গাইবান্ধা সদরসহ পাঁচ উপজেলায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৫৩, সুনামগঞ্জের সব উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩২০, বগুড়ার ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলায় ৭৬ হাজার ৬২০, সিলেট সদরসহ ছয় উপজেলায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০, টাঙ্গাইল সদরসহ ছয় উপজেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৯২৫, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় প্রায় ৬২ হাজার, লালমনিরহাট সদরসহ চার উপজেলায় সাড়ে ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়াও মানিকগঞ্জে ১৪১৩ ও মাদারীপুরের শিবচরে ১৯৫০ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।