বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘জাতির পিতার রচনা পাঠ কার্যক্রমকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে’

আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২০, ১৬:০০

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মুজিববর্ষে জাতির পিতার রচনা পাঠ কার্যক্রমকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রবিবার সকালে রাজধানীর গুলিস্থানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সভাকক্ষে মুজিববর্ষ ও জাতীয় শোকদিবস উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর লেখা তিনটি গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এর ওপর “পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই” শিরোনামে চার মাসব্যাপী পাঠ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

কে এম খালিদ বলেন, মুজিববর্ষ ও জাতীয় শোকদিবস দিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত গ্রন্থসমূহকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে যে পাঠ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে এটি নিঃসন্দেহে একটি নতুন, সৃজনশীল ও প্রশংসনীয় কর্মসূচি।

প্রাথমিকভাবে ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ১৫০জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে এ পাঠ কার্যক্রমকে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ৮০০টি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

পারিবারিক লাইব্রেরি স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় ১০০টি বই ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুক শেলফ বা শোকেজ সরবরাহের মাধ্যমে ১০টি আদর্শ পারিবারিক লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা ছড়িয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের প্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক মফিদুল হক এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস ও অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন।

বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের পক্ষ হতে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ ও সীমান্ত পাঠাগারের প্রতিনিধি মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট। স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি ও সাংবাদিক মিনার মনসুর। বাসস

ইত্তেফাক/কেকে