শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ওসি প্রদীপ-লিয়াকতসহ ৭ পুলিশের ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২০, ১৭:২১

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলালসহ ৭ পুলিশের আরও ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন। সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর এএসপি খায়রুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর আগে সোয়া তিনটার দিকে মুল অভিযুক্ত ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে আগের ৭দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে র‌্যাব। 

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সিনহা হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তাই রিমান্ড শেষে আজ (সোমবার) আদালতে তোলা প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দলাল এবং ইতিমধ্যে রিমান্ড সম্পন্ন হওয়া চার পুলিশ সদস্যের আরও সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত সবার চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দলাল ছাড়া অন্য চার পুলিশ সদস্যরা হলেন-বহিষ্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এ মামলায় সিনহার দুই সফরসঙ্গীকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন-টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক রয়েছে। তাদের নামে কোন পুলিশ সদস্য কক্সবাজারে কর্মরত নেই বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। কিন্তু এ দুই আসামির পরিচয় শনাক্তে জেলা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছে র‌্যাব্, এমনটি জানিয়েছে আশিক বিল্লাহ।

এ মামলায় নথিভুক্তসহ সহযোগী আসামি হিসেবে এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারের পর বিভিন্ন সময় প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। রিমান্ড শেষ করে সোমবার ওসি প্রদীপসহ পুলিশের ৭ সদস্যকে আবারও ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

ইত্তেফাক/এএএম