শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৫৩

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রবিবার এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় মন্ত্রী আরো জানান, মাহবুবে আলমের মৃত্যু‌তে আইন অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। এদেশের আইন অঙ্গনের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তি‌নি।

গত ৪ সেপ্টেম্বর জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ওইদিনই করোনা পরীক্ষায় তার রেজাল্ট পজিটিভ আসে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভোরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। শনিবার তার অবস্থা আরো অবনতি হয়। ওইদিন তার ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ করছিলো না। এরপর রবিবার আইসিইউতে থাকাবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার আবারো অবনতি হয়। পরে রাতে তিনি মারা যান।

মাহবুবে আলমের পুত্র সাংবাদিক সুমন মাহবুব এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, তার পিতা রাত ৭টা ২৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। মাহবুবে আলম মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। তার পুত্র সুমন মাহবুব সাংবাদিকতা ও কন্যা শিশির কনা ও তার জামাতা শেখ রিয়াজুল হকও আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। মাহবুবে আলমের স্ত্রী বিনিত মাহবুব একজন চিত্রকর।

অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মৌছামান্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও ১৯৬৯ সালে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনপেশা পরিচালনার অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনপেশা পরিচালনার অনুমতি প্রাপ্ত হন এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগে আইনপেশা পরিচালনার অনুমতি পান। ১৯৯৮ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি