বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চলে গেলেন ধানকন্যা খ্যাত বিজ্ঞানী ড. তমাল লতা আদিত্য

আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৫৭

বাংলাদেশে উন্নত জাতের ধান উদ্ভাবন ও জনপ্রিয়তাকরণে অসাধারণ অবদান রেখে চলেছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) পরিচালক ও প্রখ্যাত ধানবিজ্ঞানী ড. তমাল লতা আদিত্য। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্বামী ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

ড. তমাল লতা আদিত্য ধান প্রজননবিদ হিসাবে অনেকগুলো ধানের জাত উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। বিশেষ করে ব্রি ধান ৫৭, ব্রি ধান ৫৮, ব্রি ধান ৬৩, ব্রি ধান ৭০, ব্রি ধান ৮০, ব্রি ধান ৮১, ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৯০ এবং ব্রি ধান ৯৫ ধানের জাতগুলো উদ্ভাবনে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন। এছাড়াও ব্রি ধান ৪৬, ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৫০, ব্রি ধান ৫৬, ব্রি ধান ৭১ জাতসমূহ উদ্ভাবনে তাঁর অবদান ছিল।

ড. তমাল লতা আদিত্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। আজ এক শোকবার্তায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধান গবেষণার মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এদেশের কৃষিবিদসহ সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

কৃষিমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। অপর এক শোকবার্তায় ড. তমাল লতা আদিত্য এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান। কৃষিসচিব প্রয়াতের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

ধান গবেষণায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ড. তমাল লতা আদিত্য PBGSB Young Scientist Award 2013-14, Professional Excellence Award 2014, Rotary Club, Dhaka, Best Scientist BRRI Award 2014, STRASA Award 2018 Ges International Senadhira Rice Research Award 2018 ২০১৮ অর্জন করেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার অর্জন করে। 

ড. তমাল লতা আদিত্য ১৯৬৭ সালে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে পদন্নোতি লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে পরিচালক গবেষণা (চলতি দায়িত্ব) পদে যোগদান করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। 

ইত্তেফাক/এসআই