শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

২২ অক্টোবর থেকে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত: গাইডলাইন প্রকাশ

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৪

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ আট মাস বাংলাদেশ-ভারত বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর তা আবার চালু হচ্ছে। ইতোমধ্যে যাত্রীদের জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়। 

নির্দেশিকায় বলা হয়: 

* টুরিস্ট ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা সকল বিভাগের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কেবলমাত্র আকাশপথ ও নৌ-রুটের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করা যাবে। 

* এছাড়া টুরিস্ট ভিসা এবং মেডিকেল ভিসা ছাড়া, যে সকল ভিসা ১২ মার্চ থেকে স্থগিত রয়েছে কেবলমাত্র সেগুলো আকাশপথ/নৌ-রুটের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে। 

* বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশের সমস্ত কূটনৈতিক বা সরকারি পাসপোর্টধারীরা ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হবে না। এছাড়া যেকোনো ভারতীয় নাগরিক এবং ওসিআই কার্ডধারীরা।

গাইডলাইনে আরো বলা হয়, যাত্রীদের নির্ধারিত ভ্রমণের তারিখের কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে অনলাইন পোর্টাল ‘এয়ার সুবিধা’ (www.newdelhiairport.in)-এ একটি ফর্ম জমা দিতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুসারে, সমস্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে বোর্ডিংয়ের আগে যেকোনো সময় ফর্মটি পূরণ করতে হবে।

এছাড়া ভারতে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের এই পোর্টালে একটি প্রতিজ্ঞাপত্র দিতে হবে। সেটা হচ্ছে- বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের জন্য নিজস্ব ব্যয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণে নিজ বাড়িতে ৭ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। 

যদি কোনো যাত্রী অব্যাহতি চান তবে তারা বোর্ডিংয়ের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে এয়ার সুবিধা পোর্টালে আবেদন করবেন। অনলাইন পোর্টালে যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। 

অব্যাহতির কারণ হলো: গর্ভবতী নারী, পরিবারের কারো মৃত্যু, গুরুতর অসুস্থ, ১০ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের সঙ্গে বাবা-মা, করোনা নেগেটিভ সনদ (আরটি পিসিআর পরীক্ষার) সংযুক্ত করতে হবে। 

করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট (আরটি পিসিআর টেস্ট): 

বন্দর ছাড়ার ৯৬ ঘণ্টার আগে এই সার্টিফিকেট নিতে হবে। চূড়ান্ত সার্টিফিকেট যদি ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টা আগে পাওয়া না যায় তবে যাত্রীরা রিপোর্টটি বহন করতে পারবেন এবং বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সময় এটি প্রদর্শন করতে পারবেন। এ জাতীয় যাত্রীরা এয়ার সুবিধায় ছাড়ের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। সেখানে তারা উল্লেখ করতে পারেন ‘ফলাফল আসার অপেক্ষায় রয়েছেন’।

সবশেষ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পাওয়া যাত্রীরা তাদের চূড়ান্ত গন্তব্যে যেতে অভ্যন্তরীণ বিমানসহ অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ব্যবহার করতে পারবেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচ