আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ছিলেন একজন বিশাল মহীরুহ। তিনি গত ৬০ বছর ধরে আইন ও বিচারাঙ্গনে যে ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন তার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হল। আমি গর্ববোধ করি তার ছাত্র ছিলাম। দোয়া করি আল্লাহতায়ালা উনাকে জান্নাত দান করুন। আজ সকালে তিনি এক শোক বার্তায় এসব কথা বলেন।
বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, রফিক-উল হক ছিলেন নিজেই একজন ইতিহাস। বাংলাদেশের আইনের ইতিহাসে উনি একজন আইকন। আমি উনার সরাসরি ছাত্র ছিলাম। আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। শিক্ষক হিসেবে যত্ন করে পরাতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে যখন কোর্টে আসলাম তখন দেখলাম উনি যে মামলার শুনানি করতেন সর্বোচ্চ টা দিয়ে শুনানি করতেন। মামলার পেছনে তার পরিশ্রম তুলনাহীন।
নানাভাবে তার সঙ্গে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সুযোগ ও সৌভাগ্য হয়েছে। অনেককে হারাতে পারলেও তাকে কখনো হারাতে পারিনি। যখন বিচারকের আসনে বসলাম, তখন অনেক সুন্দর সুন্দর মামলা নিয়ে আসতেন।
একটা খারাপ মামলাকে কতটা ভালোভাবে আদালতে উপস্থাপন করতে হয় সেটা তিনি দেখিয়েছেন। মক্কেলের জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতেন। উকালতিতে উনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন আইনের ছাত্রদের জন্য তা হবে অনুকরণীয়।
বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, ছিলেন দিলদরিয়া মানুষ। কোর্টে মামলা নিয়ে অনেক উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে, কিন্তু মামলা শেষে তিনি মনে রাখেননি কখনো। ছাত্র, আইনজীবী ও বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বপালনকালে তার স্নেহের পরশ পেয়েছি। আর সমাজ সেবা রেখেছেন বড় অবদান। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে উনি কোটি কোটি টাকা অনুদান দিয়ে গেছেন।
ইত্তেফাক/এমআর