শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনা মোকাবিলায় আরো সহযোগিতার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:১০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মানসম্পন্ন ভ্যাকসিনের সার্বজনীন ও ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ভ্যাকসিনটি স্থানীয়ভাবে উত্পাদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মহামারি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ তিনটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে জরুরি মনোযোগে গুরুত্ব এবং আরো বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে গতকাল শুক্রবার ইউএনজিএর ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে রেকর্ডকৃত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম)-এর বর্তমান চেয়ার আজারবাইজান এবং জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গতকাল শুরু হওয়া দুই দিনের এ বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন।
 
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ সালের উন্নয়ন এজেন্ডা সমতার নীতি দ্বারা পরিচালিত এসডিজি অর্জনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের মৌলিক ভূমিকার স্বীকৃতি দেয়। তিনি বলেন, ‘যখন ভ্যাকসিন প্রাপ্তির কথা আসে, তখন কাউকে পিছনে রাখা সমীচীন হবে না। এটি মহামারি পরাস্ত করতে, জীবন বাঁচাতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে আমাদের সহায়তা করবে।’

দ্বিতীয়ত, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে গোটা বিশ্বের জন্য একটি ‘বৈশ্বিক জনপণ্য’ বিবেচনা করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউএইচওর অ্যাক্ট এবং কোভাক্স সুবিধার উদ্যোগ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর ট্রিপস চুক্তির আওতায় আইপি রাইটস ওয়েভার ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উত্পাদনের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে এবং সুযোগ পেলে ভ্যাকসিন তৈরি করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয়ত, কোভিড-১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক সহায়তাসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। সরকারসমূহের পাশাপাশি, জাতিসংঘ, আইএফআই, সুশীল সমাজকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় একে অপরের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ মহামারি মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণে এবং তা আরো উন্নত করতে এ সংকট থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। অনেক দেশই দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই এবং কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করেছি এবং আমাদের অর্থনীতি ও জনগণকে মহামারি থেকে রক্ষায় সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার সরকার ব্যবসা, কর্মসংস্থান ও উত্পাদনশীলতার ওপর প্রভাব হ্রাস করতে ১৪.১৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা আমাদের জিডিপির ৪.৩ শতাংশের সমান।’ বাসস

ইত্তেফাক/কেকে