বাংলাদেশে এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলার অংশ হিসেবে মার্চের ১৭ তারিখ থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিবেশ ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে।
সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পরেই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি পরিকল্পনা করেছে সরকার।
তিনি বলেন, এখন তো ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টিকা নিচ্ছেন। এরপরের ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যে শিক্ষার্থীরা থাকেন, তাদেরও টিকা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পন্ন হলেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে।
ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অধ্যাপক চন্দ আরও জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়া হবে, অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনার পরই খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বিবিসি বাংলা
ইত্তেফাক/কেকে