শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নববর্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানার যুদ্ধ

আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৯

করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেই বাঙালির জীবনে আরো একবার এলো পহেলা বৈশাখ। গত বছরও মানুষ ঘরে আবদ্ধ ছিল, এবারও বৈশাখ বরণে মেতে ওঠা হবে না। এবারের বৈশাখে নিশ্চয়ই বিশ্ব জুড়ে করোনার সংক্রমণের কারণে যে ‘লকডাউন’ চলছে তা থেকে মুক্ত হওয়ার আহ্বান ফুটে উঠবে সবার প্রার্থনায়।

সবার মনে পহেলা বৈশাখের সেই চিরায়ত গান গুঞ্জরিত হলেও এবারে তার আবেদন ভিন্ন। আর এই আশঙ্কার মধ্যেই জাতির জীবনে এসেছে বাংলা নতুন বছর। প্রতি বছর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মানুষ পথে নেমে আসে। সকালের প্রথম আলোয় সঙ্গীত সমাবেশ আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বরণ করে নতুন বছরকে। ভোরে সূর্যের আলো ফোটার সময় থেকেই রমনা বটমূল মানুষের পদচারণায় ভরে ওঠে। এবার সেই প্রাঙ্গণ থাকবে জনশূন্য। শাহবাগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের প্রতিটি উত্সব কেন্দ দেখা যাবে জনমানবহীন। এমন অনাড়ম্বর পহেলা বৈশাখ আর কখনোই আসেনি জাতির জীবনে।

এর আগে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পহেলা বৈশাখের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নতুন করে লোকসমাগমে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এবার তাই কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হবে। ঐতিহ্যবাহী রমনার বটমূলে হচ্ছে না ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রার দায়িত্বে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন ইত্তেফাককে জানান, প্রতিবছর স্বশরীরে মঙ্গল শোভাযাত্রা হলেও এ বছর করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আমরা শোভাযাত্রা পালন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তবে প্রতীকী একটি শোভাযাত্রা আমরা করবো। প্রতিবছরের সকাল ৯টায় ওই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও ধরনের মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত করা যাবে না। মহামারি উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি