বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মানুষের চলাচল বাড়লেও কয়েকটি স্থানে রয়েছে কড়াকড়ি

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০১:০৫

সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিনে বিভিন্ন স্থানে মানুষের চলাচল ও ভিড় বেড়েছে। বেড়েছে যানবাহান চলাচলও। তবে কয়েকটি স্থানে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।

গাইবান্ধা :গাইবান্ধায় সাধারণ মানুষের মধ্যে লকডাউন মেনে চলার প্রবণতা কমে গেছে। শনিবার শহর ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছিল খোলা। এছাড়া রাস্তায় পাবলিক বাস ছাড়া ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অটোভ্যান দেদারছে চলাচল করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাইবান্ধা জেলা শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের তত্পরতা অব্যাহত থাকলেও জেলা শহরের ১ নম্বর ট্রাফিক মোড়, সান্দারপট্টি, মধ্যপাড়া রোড, স্টেশন রোড, বড় মসজিদ মোড়, গাইবান্ধা স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় দোকান খুলে বেচাকেনা চলছে। এদিকে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। প্রতিদিন চা, মিষ্টির দোকান এবং বাজারগুলোতে বসছে জমজমাট আড্ডা। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান জানান, শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের তত্পরতা অব্যাহত আছে।

ঝিনাইদহ :ঝিনাইদহে কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে জেলা শহরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। তবে ভিন্ন চিত্র উপজেলা শহরগুলোতে। নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। শৈলকুপা উপজেলা শহরে একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এখানে মুদি দোকান থেকে শুরু করে পোশাকের দোকানও খুলতে দেখা গেছে। শনিবার ছিল শৈলকুপার হাটের দিন। সরকারের নির্দেশ না মেনে আগের মতোই হাট বসে। ভিড় করে লোকে কেনাকাটা করে। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক, আর নিরাপদ দূরত্বতো ছিলই না। জেলার গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে লকডাউন একেবারেই ঢিলেঢালা। শুক্রবার মহেশপুর উপজেলার খালিমপুর হাটেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে। লকডাউনের কার্যক্রম মানছেন না মানুষ। এদিকে রাস্তায়ও মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও সিএনজি মহেন্দ্র গাড়ি চলতে দেখা গেছে।

সিরাজগঞ্জ :শহরে প্রবেশ ও জনসমাগম সীমিত করতে সিরাজগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক বাঁশ এবং দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে জেলা পুলিশ। শনিবার সকালে শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বাজার স্টেশন, খেদন সর্দারের মোড়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গলি, টুকু ব্রিজ, ইলিয়ট ব্রিজ, সরকারি কলেজ গেট, শহীদ নাজমুল চত্বর, পামতলা মোড়, সদর থানা গেট ও পোস্ট অফিস সড়কগুলো বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাজার স্টেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত সদর থানার এসআই আবু ছাইদ বলেন, মুভমেন্ট পাশ ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের হতে দিচ্ছি না। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিদ্ধা আখতার পিপিএম বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ নিজে থেকে সচেতন নয়। তাই শুক্রবার থেকে পুলিশ আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

জয়পুরহাট :জেলা শহরের প্রবেশপথগুলোতে কঠোর অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভারী যানবাহন কম থাকলেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা যায়। আর শহরের নিউমার্কেটের ভেতরে দোকানগুলোতে বেচাকেনা চলছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে দোকান বন্ধ করার অভিনয় করা হলেও ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পর আবার খোলা হচ্ছে। দোকান খোলার ভেলকিবাজি চলছে মার্কেটগুলোতে।

নাটোর :নাটোরে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা গেছে। শনিবার ভোর থেকেই বেশ কিছু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। লোকজনের চলাফেরাও বেড়েছে। তবে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে পুলিশ বিধিনিষেধ অনুযায়ী যানবাহন ও জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সরকারি নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমএএম