শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাংলাদেশের গণমাধ্যম ‘স্বাধীন এবং মুক্ত’: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট : ০৩ মে ২০২১, ২৩:৪৩

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,  ‘গণমাধ্যমের অপরিসীম শক্তি যার মুখে ভাষা নেই তাকে যেনো ভাষা দিতে পারে, যে স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে তাকে স্বপ্ন দেখাতে পারে, যার কাছে ক্ষমতা নেই, তাকে ক্ষমতাবান করতে পারে।’ 

সোমবার (৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রীর মনে করেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যম যেমন স্বাধীন এবং মুক্তভাবে কাজ করছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তা অবশ্যই একটি উদাহরণ এবং একইসাথে অনেক উন্নত দেশের তুলনায়ও এদেশের গণমাধ্যম মুক্ত এবং স্বাধীন।’ 

ভুল সংবাদ পরিবেশন নিয়ে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশে কোনো পত্রিকায় যদি ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়, তার প্রতিবাদ জানালে সংবাদটা যে মাত্রায় পরিবেশিত হয়েছিল প্রতিবাদটা সেই মাত্রায় ছাপানো হয় না। এদেশে ভুল, অসত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য পত্রপত্রিকার কোনো জরিমানা গুণতে হয় না, যেটি উন্নত দেশে গুণতে হয়। উন্নত দেশগুলোতে কোনো ভুল, সংবাদ অসত্য সংবাদ বা কারো ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, হস্তক্ষেপ হয়েছে এমন সংবাদ পরিবেশিত হলে কেউ যখন আইনের আশ্রয় নেন, তাদেরকে জরিমানা গুণতে হয়। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা না, নিয়মিতই সেটি হয়।’ 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেপ্তার বিষয়ে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংগঠনের বিরূপ মন্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের ও বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম নিয়ে যে সমস্ত সংগঠন বিবৃতি দেয় তাদের সাথে একমত হবার কারণ নেই। তারা নির্দিষ্ট কিছু জায়গা থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। আমাদের কাছে বা তথ্য কমিশনের কাছেও কোনো তথ্য চায় না। তাদের ঢালাও মন্তব্য ঠিক নয় এবং আমরা এগুলোর সাথে একমত নই।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সারাদেশে সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। একজন সাংবাদিক, লেখক, কৃষক, গৃহিণী, সাধারণ মানুষ, রিক্সাওয়ালা, চাকরিজীবী, শ্রমিক, রাজনৈতিককর্মী সবারই ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এই আইন। অনেক সাংবাদিক এই আইনের আশ্রয় নিয়ে মামলা করেছেন। সেইসাথে এ আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয়, কোনো সাংবাদিক যেন হয়রানির স্বীকার না হন, সেটির সাথে আমি অবশ্যই একমত।’

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী কবি ও সাংবাদিক মিজান মালিকের ‘মন খারাপের পোস্টার’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে বলেন, মানুষ যখন প্রচণ্ড আত্মকেন্দ্রিক হচ্ছে, কল্পনা হারিয়ে যাচ্ছে, সেসময় কবিতা এবং কবিতার বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিজান মালিক এখনো তরুণ, তার হাত দিয়ে আরো অনেক কবিতার বই আমাদের সাহিত্য, আমাদের বাংলা ভাষা পাবে, এটিই আমার প্রত্যাশা। 

ইত্তেফাক/এসআই